নবম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীর সাথে জোরপূর্বক 'টিকটক' করে সামাজিক যোগাজোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে স্কুলের নৈশ প্রহরী। এ নিয়ে স্কুলটির শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার নলুয়া বাছেদ খান উচ্চ বিদ্যালয়ে।
অভিযুক্ত নাইট গার্ডের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা । এদিকে অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বিকার করে প্রমান সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত নিরাপত্তা কর্মী আরিফ মিয়া তার পরিবারের সাথে গত প্রায় পাঁচ বছর যাবৎ নলুয়া বাছেদ খান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। এরই সূত্রধরে আরিফ বছর খানেক পূর্বে এই স্কুলে নিরাপত্তা কর্মী পদে চাকরি পায়। চাকরি পাওয়ার থেকে বিভিন্ন সময়ে স্কুলের মেয়েদের ইভটিজিং করার অভিযোগ এসেছে তার বিরুদ্ধে। এব্যাপারে শিক্ষার্থীরা পূর্বে প্রধান শিক্ষককে অবহিত করলেও কোন প্রকার ব্যাবস্থা নেয়া হয়নি।
চলতি মাসের ১৪ তারিখ নবম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীকে ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় ভয়ভিতি দেখিয়ে জোরপূর্ব তার সাথে স্কুল মাঠেই টিকটক করাতে বাধ্য করে এবং তার ফেইসবুক পেইজে আপলোড করে আরিফ মিয়া।
আরও পড়ুন: কাকের ডাকে মিললো নিখোঁজ গৃহবধূর অর্ধগলিত মরদেহ
মূহুর্তেই টিকটকটি ভাইরাল হয়ে যায়। এব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরাবর শিক্ষার্থীরা অভিযোগ দিলেও কোন প্রকার আমলে নেয়নি। পরবর্তিতে স্কুলের সকল শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বার্হী বরাবর অভিযুক্ত নিরাপত্তা কর্মীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেয় এবং অভিযুক্ত নিরাপত্তা কর্মীর চাকুরিচুত্য সহ দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ তোফাজ্জল হোসেন জানান, তার কাছে কেউ কোন প্রকার অভিযোগ না দিয়ে উপজেলা নির্বার্হী বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
এদিকে উপজেলার নির্বার্হী অফিসার বলছে , স্কুলের নিরাপত্তা কর্মীর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এব্যাপারে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
একাত্তর/এসএ