দেশের বিভিন্নস্থানের মতো নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় কমছে তাপমাত্রা। হাড় কাঁপানো শীত ও কনকনে বাতাসে বেড়েছে রোগের প্রাদুর্ভাব। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠাণ্ডা, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত নানান রোগ। পরিসংখ্যান বলছে আক্রান্ত রোগীদের তালিকায় সবার ওপরে শিশুরা।
সরেজমিনে বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে জানা যায়, শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে বিভিন্ন রোগ। অনেক বাবা-মা জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে হাসপাতালে আসছেন। ডাক্তার দেখাতে লাইনে ধরে তারা ভিড় করছেন শিশু বিশেষজ্ঞের কক্ষে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে সদর হাসপাতালে শিশুসহ নানা বয়সী প্রায় ৩০ জন ঠাণ্ডাজনিত রোগী ভর্তি আছেন।
এছাড়া হাসপাতালে ১ জানুয়ারি থেকে শুরু করে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ৬ শতাধিক ঠাণ্ডাজনিত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসা এক শিশুর মা রুমা বেগম বলেন, তার সন্তানের ঠাণ্ডা লেগেছিল। পরে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা হলে চিকিৎসক জানান, শিশুটির ডায়েরিয়া হয়েছে।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা সাব্বির হোসেন জানান, মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে জ্বর-সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: রংপুরে শীতে বেশি কাবু হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা
শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মোকাদ্দেশ রাব্বানী জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ জন শিশু রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। যারা প্রত্যেকেই ঠাণ্ডাজনিত নানান সমস্যায় আক্রান্ত।
রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কেএইচএম ইফতেখারুল আলাম খান বলেন, শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকলে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যাও বেশি হয়। শিশুরা আক্রান্ত হয় সবচেয়ে বেশি।
তিনি বলেন, শীতের সময় সকলের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
একাত্তর/আরএ