নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে গিয়েই দুর্যোগের মুখে পড়েছেন জেলেরা। বৈরী আবহাওয়ায় সোমবার রাত থেকেই ঝড়ো বাতাস শুরু হয়েছে। তিন দিন ধরে উত্তাল রয়েছে বঙ্গোপসাগর। এর প্রভাবে উপকূলেও দমকা বাতার এবং হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর ২৩ জুলাই রাত থেকে ইলিশ আহরণে সাগরে ছুটতে শুরু করে ফিশিং ট্রলারের বহর। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে গভীর সাগরে ইলিশ আহরণে নামতে পারেনি কোনো ট্রলার।
এদিকে, সাগর অশান্ত থাকায় বাগেরহাটের শরণখোলা ও উপকূলের শত শত মাছধরা ট্রলার সাগর ছেড়ে সুন্দরবনসহ বিভিন্ন এলাকায় নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। অনেক ট্রলার ফিরে এসেছে নিজ নিজ এলাকাতে। তবে, কিছু কিছু ট্রলার ঝুঁকি নিয়ে সাগর কিনারার অগভীর এলাকা ও নিরাপদ দূরত্বে থেকে মাছ ধরছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মৎস্যজীবি নেতা ও মহাজনরা।
শরণখোলার সমুদ্রগামী ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন জানান, দীর্ঘ ৬৫ দিন পর লাখ লাখ টাকা খরচ করে সাগরে ট্রলার পাঠিয়েও জাল ফেলা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে সাগর খুবই অশান্ত। কোনো ট্রলারই গভীর সাগরে যেতে পারেনি। বেশ কিছু ট্রলার জাল ফেলতে না পেরে শরণখোলার ঘাটে ফিরে এসেছে। তবে কিছু ট্রলার অগভীর এলাকায় নিরাপদ দূরত্বে থেকে মাছ ধরার খবর শোনা গেছে।
আবুল হোসেন আরও জানান, শরণখোলায় সমুদ্রগামী ট্রলারের সংখ্যা তিন শতাধিক। এর মধ্যে দেড় শতাধিক ট্রলার প্রথমবার সাগরে রওনা হয়ে যায়। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় সেসব ট্রলার উপকূলের পাথরঘাটা, মহিপুর, এবং সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সুপতির স্টেশনের কাছকাছি আশ্রয় নিয়েছে। এসব স্থানে অন্যান্য এলাকারও শত শত ট্রলার অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: পলাতক জেএমবি নেতা আরিফ গ্রেপ্তার
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) মো. মাহাবুব হাসান জানান, দুযোর্গপূর্ণ আবহাওয়ায় বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। যে কারণে গভীর সাগরে জেলেরা যেতে পারছেন না। পাসধারী কোনো ট্রলার বা জেলে সুন্দরবনে আশ্রয় নিলে তাদের সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, ২৩ জুলাই থেকে সাগরের নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে। সুন্দরবনে মাছ ধরায় এখনও নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। সুন্দরবনে আগামী ৩১ অক্টোবরের পর থেকে শুরু হবে মাছ শিকার।