জামালপুর জেলা কারাগারে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও ফটক ভেঙে পালানোর চেষ্টার ঘটনায় ছয় বন্দী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত সাতজন। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার দুপুরে জামালপুর কারাগারের জেলার আবু ফাত্তাহ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত বন্দিরা হলেন- জামালপুর সদর উপজেলার ফহিমের ছেলে আরমান, মাসুদের ছেলে শ্যামল, নুরুল ইসলামের ছেলে জসিম, ফজলে রাব্বি বাবু, রায়হান ও রাহাত। তারা সবাই জামালপুর সদর উপজেলার বাসিন্দা।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত চার বন্দী এবং তিন কারারক্ষীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলার আবু ফাতাহ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে কারাগারের ভেতরে বন্দীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় তারা জেলারকে মারধর ও জিম্মি করে কারাগার থেকে বের হবার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফাঁকা গুলি ছুড়ে কারারক্ষীরা। পরে বিক্ষুব্ধ বন্দীরা কারাগারের ভেতরের দুইটি ভবন, জেলারের কক্ষ ও প্রধান গেইটের ভেতরে একটি গেইট ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করে। বন্দীদের কাছে জিম্মি হন ১৪ কারারক্ষী।
তিনি আরও বলেন, পরে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কারাগার এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। সন্ধ্যায় জিম্মি কারারক্ষীদের ফেরত দেয় বন্দীরা। রাত ৩টায় কারাগারের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। কোনো বন্দী পালাতে পারেনি বলেও দাবি জেলারের।
কারাগারের ক্ষতিগ্রস্ত ফটক ও ভেতরে অন্যান্য ভবন দ্রুত মেরামতের জন্য গণপূর্ত বিভাগ কাজ শুরু করেছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
জামালপুর জেলা কারাগারে ৬৬৯ জন বন্দীর মধ্যে ১০০ জনই সাজাপ্রাপ্ত আসামি। এই কারাগারে কোনো জঙ্গি নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।