বরগুনার আমতলীতে দরিদ্র কর্মসংস্থান কর্মসূচির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প বাসস্তবায়ন কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদের বিরুদ্ধে।
এলাকার লোকজন জানান, এলজিইডির বানানো রাস্তা দেখিয়ে বিল নিয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ। অতি দরিদ্র শ্রমিকের তালিকায় নাম রয়েছে প্রবাসী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীদের।
এই নিয়ে কোনো কথা বলতে চাননি ইউপি চেয়ারম্যান। আর সাংবাদিকের ওপর ক্ষিপ্ত হয়েছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা।
২০২০-২০২১ অর্থ বছরে প্রথম পর্যায়ে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচিতে আমতলীর চাওড়া ও হলদিয়া ইউনিয়নে ৪টি প্রকল্পে ২৬ লাখ ৬২ হাজার ৯৩৮টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার।
এতে উপকারভুগী হিসেবে কাজ করার কথা দরিদ্র সীমার নিচের ৩২৭ জন পুরুষ ও নারী শ্রমিকদের। অথচ হয়েছে উল্টো।
এরই মধ্যে আমতলী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাগজে-কলমে দেখিয়েছেন চাওড়ার পাতাকাটা আশ্রম থেকে গাইন বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পুননির্মাণ নামে একটি প্রকল্প।
যাতে ব্যায় দেখিয়েছে ৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। তবে বাস্তবে দেখা যায় পাতাকাটা আশ্রম থেকে তিনশ’ মিটার পর্যন্ত একই রাস্তায় এই অর্থ বছরেই এলজিইডি ইটের রাস্তা নির্মাণ করেছে।
একই রাস্তায় গাইন বাড়ির সামনে একটি পাইপ কালভার্ট নির্মান প্রকল্পে ৪৬ হাজার ১শ ৩৮ টাকা ব্যায় দেখালেও পাইপ কালভার্টটি ব্যক্তিগত উদ্যোগে নির্মাণ করেছে এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় সড়ক সংস্কারে ঠিকাদারের টালবাহানা
হলদিয়া ইউনিয়নের চিত্রও একই রকম। ৮ লাখ ৭২ হাজার টাকার একটি প্রকল্পে মাটির রাস্তা নির্মান দেখিয়েছে ইউপি কর্তৃপক্ষ।
অথচ বাস্তবে কোন কাজই হয়নি। প্রকল্পে দারিদ্রদের কাজ করার কথা থাকলেও সেখানেও নাম আছে স্বাবলম্বীদের।
এনিয়ে কথা বলতে চাইলে সংশ্লিষ্ট দুই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জানালেন বিষয়টি তদন্ত করে দেখার হবে।
এদিকে এসব বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ক্যামেরার সাথে কথা বলতে রাজি হননি। বিষয়বস্তু শুনেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন তিনি।
একাত্তর/আরবিএস