দেশব্যাপী শুরু হয়েছে গণটিকা কার্যক্রম। আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ৩২ লাখ মানুষকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে। দেশের ৪ হাজার ৬০০টি ইউনিয়নে, এক হাজার ৫৪টি পৌরসভায় ও সিটি কর্পোরেশনের ৪৩৩টি ওয়ার্ডে টিকাদান কর্মসূচি চালানো হচ্ছে।
শনিবার (৭ আগস্ট) সকালে বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভা থেকে একাত্তর সংবাদদাতাদের পাঠানো খবরের ভিত্তিতে টিকাদানের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। গাজীপুর, ঝালকাঠি, দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, জামালপুর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুরের গাংনী, যশোর, পটুয়াখালীর কলাপাড়া, চাঁদপুর, নরসিংদী, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, চুয়াডাঙ্গার টিকাদানের পরিবেশ বিশ্লেষণ করে দেখা যায় মানুষজন উৎসাহ নিয়ে গণটিকাদান কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।
নরসিংদী প্রতিবেদক জানান, জেলার ৯৩টি টিকাকেন্দ্র সকাল নয়টা থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সকালে নরসিংদী পৌরসভায় টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল ইসলাম। নরসিংদী জেলার ৭২টি ইউনিয়নে বুথ স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে তিনটি টিকাদান বুথ রয়েছে। প্রত্যেক ইউনিয়নের তিনটি বুথে ৬০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। এছাড়া জেলার পাঁচটি পৌরসভার ২১টি কেন্দ্রে পরিচালনা করা হবে টিকাদান কার্যক্রম।
আরও পড়ুন: ৫ বিভাগে করোনা ও উপসর্গে ৬৪ মৃত্যু
চাঁদপুরে সকাল ৯টা থেকে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জেলার ৯০টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় মোট ৬১ হাজার ২০০ মানুষকে টিকা দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সিনোফার্মার ৭১ হাজার ৬০০ টিকা চাঁদপুরে এসে পৌঁছেছে। এছাড়াও ইউনিয়নের সাধারণ মানুষকে টিকা গ্রহণে আগ্রহী করতে প্রচার-প্রচারণার চালানো হচ্ছে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার প্রত্যন্ত এলাকায় করোনার টিকাদান কর্মসূচী শুরু হয়েছে। এতে প্রতিটি কেন্দ্রে মানুষের আগ্রহ ও ভিড় পরিলক্ষিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টা থেকে এ টিকাদান কর্মসূচী শুরু হয়। কলাপাড়ার ১২টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় একযোগে এ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে প্রতি কেন্দ্রে ৬০০ জনকে এ টিকা দেয়া হচ্ছে। এজন্য প্রতিটি কেন্দ্রে দুটি করে বুথ খোলা হয়েছে। বয়স্ক, নারী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষ অগ্রাধিকার পাচ্ছে কেন্দ্রগুলোতে।
আরও পড়ুন: গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু
যশোর জেলার ৯৩টি ইউনিয়ন ও সদর পৌর সভার মোট একশ’ কেন্দ্রে আজ সকাল থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম দিনে কেন্দ্রগুলোতে দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়।
মেহেরপুরের গাংনীতে গণটিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। গাংনী উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় এ টিকা প্রদান কার্যক্রম চলছে।
কুষ্টিয়াতে ইউনিয়ন পর্যায়ে গণটিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে জেলার ৬৪ ইউনিয়ন ও ৫টি পৌরসভার মোট ৯৬টি কেন্দ্রে করোনার এই টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে।
জামালপুরে মোট ৭৯টি কেন্দ্রে একযোগে এই টীকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
মানিকগঞ্জের ৬৫টি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভায় একযোগে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয় সকাল নয়টায়। মোট ৪০ হাজার ২০০ জনকে আজ গণটিকার আওতায় আনা হবে বলে প্রত্যাশা করেছেন সিভিল সার্জন।
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে গ্রাম পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়েছে। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৯টি কেন্দ্রের প্রত্যেক কেন্দ্রে ৩টি করে বুথে টিকা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে ৯৫ হাজার করোনা রোগীর অবস্থা গুরুতর
গাজীপুর মহানগরের ১০৭টি টিকা কেন্দ্রসহ জেলায় মোট ২১৪টি কেন্দ্রে গণটিকা কার্যক্রম সকাল থেকে শুরু হয়েছে। গণটিকার প্রথম দিনে জেলা জুড়ে ৬০ হাজার মানুষকে টিকা দেয়ার প্রস্তুতি রয়েছে।
ঝালকাঠিতে বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে দুই পৌরসভা ও ৩২টি ইউনিয়নের মোট ৪৪টি কেন্দ্রে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
একাত্তর/আরএ