গাইবান্ধায় একই রশিতে মৃত অবস্থায় ঝুলে থাকা উদ্ধার হওয়া দুই যুবকের মৃত্যুর কারণ জেনেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের পশ্চিম পেয়ারাপুর মাঝিপাড়া গ্রাম থেকে পুলিশ ওই দুটি লাশ উদ্ধার করে।
রোববার (১৫ আগস্ট) মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সংবাদ সম্মেলন করে ওই খুনের সঙ্গে জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার ও খুনের কারণটি জানিয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার যুবক জোড়া খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পিবিআই।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম প্রদীপ চন্দ্র দাস (২২)। তিনি একই গ্রামের নিবারণ চন্দ্রের ছেলে। এখনও পলাতক রয়েছেন খুনের সঙ্গে জড়িত নিতাই চন্দ্র দাস নামের আরেক যুবক।
সংবাদ সম্মেলনে পিপিআই-গাইবান্ধার পুলিশ সুপার এআরএম আলিফ জানান, জোড়া খুনের শিকার নিহত সুমন কান্তি দাসের মায়ের সঙ্গে পলাতক থাকা নিতাই চন্দ্র দাসের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। ঘটনাটি জানা জানি হওয়ার পর দুই বন্ধুর মধ্যে বিরোধ হয়। এর জেরে গত ১২ আগস্ট গভীর রাতে পলাতক থাকা নিতাই চন্দ্র দাসের পূর্ব পরিকল্পনায় গ্রেপ্তার আসামি প্রদীপ চন্দ্র দাসের সহযোগিতায় মৃণাল কান্তি দাস ও সুমন কান্তি দাসকে মাদক সেবনের জন্য নির্জন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আগে থেকেই রাখা অপর তিন-চার জন সহযোগীসহ মৃণাল ও সুমনকে হত্যা করে। হত্যাটি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে ফাঁসির আদলে একটি গাছের সঙ্গে রশির দুই মাথায় দুইজনকে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
আরও পড়ুন: করোনায় মারা গেলেন ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার মৃত্যুদণ্ডের আসামি
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকালে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দুইজনের লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে। এসময় হত্যায় ব্যবহৃত ব্যাগ, টাওয়েল, দড়ি, একটি ছুরি, কাচি উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার যুবকের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, একটি গাছের লেখা নিতাই নাম লেখা ছিলো। নিহতের পরিবার তখন থেকেই দাবি করে আসছিল এটি হত্যাকাণ্ড।
একাত্তর/এসি