বগুড়ার ধুনটে যমুনার ভাঙ্গন রক্ষায় নির্মিত বানিয়াজান স্পারে তৃতীয় বারের মত আবারও ধস নেমেছে।
এ নিয়ে গত ৫ আগস্ট থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত স্পারটি তৃতীয় বারের মত ভাঙ্গনের কবলে পড়লো।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, ২০০৩ সালে যমুনার ভাঙ্গন রোধে সারিয়াকান্দী উপজেলা ও ধুনট উপজেলায় ৬টি স্পার প্রতিটি ১১ কোটি করে ৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল। স্পারগুলোর মধ্যে শুধু সারিয়াকান্দীর হাসনা পাড়ায় দুটি অক্ষুণ্ণ রয়েছে। বানিয়াজান স্পারের কংক্রিট ১৫০ মিটারের ৫০ মিটার বিলীন হয়ে গেছে। অপর তিনটি স্পারের অস্তিত্ব নেই।
ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বাবু জানান, যমুনার পানি বৃদ্ধির ফলে স্রোতে মঙ্গলবার সকালে আবারও স্পারটি ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। স্পারের ধসের উজানে জিও ব্যাগ না ফেললে ভাঙ্গন ঠেকানো সম্ভব হবে না। আর যদি ভেঙ্গে যায় এবং নদীর পানি যদি আরও বৃদ্ধিপায় তাহলে বানিয়াজান, ভান্ডারবাড়ী, কয়াগাড়ী, পুকুরিয়া, সহ কাজিপুর সহ আরো কয়েক গ্রামে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বানিয়াজানের গুচ্ছ গ্রামের অধিবাসী সুচেন দাশ বলেন, যদি স্পার ভেঙ্গে যমুনার পানি দক্ষিণে গড়তে থাকে তাহলে গ্রাম যমুনায় বিলীন হয়ে যাবে। আবারও তাহলে গৃহহীন হয়ে পড়বো। এখন সেই আতংকে আছি।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জানান, গত ৫ আগস্ট ১৮ মিটার, ৯ আগস্ট ১২ মিটার ও আজ ১৮ মিটার ধস নেমেছে। ধস ঠেকাতে সেখানে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ চলছে।
তিনি আরও জানান, যমুনার পানি প্রতি ঘণ্টায় এক সেন্টিমিটার করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে স্রোতের তীব্রতাও বাড়ছে। স্রোতের কারণেই মূলত ধস নেমেছে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মোহন্ত বলেন, প্রতি নিয়ত স্পারের খোজ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলকে অবহিত করা হচ্ছে।
একাত্তর/এসজে