শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে একটি মাদি বন্যহাতি পায়ে একাধিক গভীর ক্ষত নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় পাহাড়ে পড়েছিলো। খবর পেয়ে হাতিটির সুস্থতায় এগিয়ে আসে বন বিভাগ এবং বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ। পরে গাজীপুর সাফারি পার্ক ও প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের চিকিৎসকদের যৌথ সহযোগিতায় চিকিৎসা শেষে হাতিটিকে বনে পাঠিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১ মে) বিকেলে উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের দাওধারা কাটাবাড়ি এলাকার গারো পাহাড়ের অভ্যন্তরে হাতিটিকে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, নালিতাবাড়ী প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. সাকিব হোসেন সাগর, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা শাহীন কবির, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার, ওয়াইল্ড লাইফ রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল আমিন, মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলীসহ অনেকে।
মেডিকেল টিমের প্রধান চিকিৎসক গাজীপুর সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন ডাক্তার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রায় ৩/৪ মাস আগে বল্লম জাতীয় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ওই হাতিকে আঘাত করা হয়েছিলো। ৩/৪ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের ওই আঘাতের গভীরতা প্রায় ৬ ইঞ্চির মতো। আঘাতের কারণে হাতিটি অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তার দেহের মেজর টিস্যু ডেমেজ হয়ে যায়। আমরা পাহাড়ে এসে ওই হাতির আঘাতপ্রাপ্ত স্থান ড্রেসিং করে তার দেহে এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করে চিকিৎসাসেবা দিয়ে বনে ছেড়ে দিয়েছি। আশা করছি খুব দ্রুতই হাতিটি সুস্থ হয়ে উঠবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাতিটির আঘাতপ্রাপ্ত পা ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত সেরে উঠবে বলে জানান তিনি।
গারো পাহাড় এলাকায় প্রায় শতাধিক বন্যহাতি কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে আনাগোনা করছিল। এসব বন্যহাতি খাদ্যের সন্ধানে কখনো ধানক্ষেতে কখনোবা লোকালয়ে আসছে। কৃষকরা ফসল ও বসতবাড়ি রক্ষা করতে নানা প্রতিরোধ গড়ে তুলে। আবার কেউ কেউ ধানক্ষেতে জেনারেটর বা বৈদ্যুতিক তার দিয়ে ফাঁদ পেতে ক্ষুধার্ত হাতিগুলোকে নিভৃত করতে চেষ্টা করে আসছে।