লক্ষ্মীপুর জেলা জজ আদালতে জামিন সংক্রান্ত একটি মামলাকে কেন্দ্র করে আইনজীবী ও আদালত কর্মচারীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় একজন আহত হয়েছেন।
রোববার (১৫ জুন) দুপুর ১২টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ এই উত্তেজনাকর ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয় আইনজীবী সমিতি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলার রায়পুরের প্রভাষক আহমেদ কাউসার উদ্দিন জামান ও তার সহযোগী রুবেলের বিরুদ্ধে আদালতেরই এক আইনজীবী আবু তৈয়ব সদর থানায় চুরির মামলা করেন। অভিযোগে বলা হয়, তারা গেট ও পিলার কেটে পিকআপে করে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদন করলেও বিচারক এম সাইফুল ইসলাম ১০ জুন আসামিদের ১০০ টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেন। বিচারকের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হন আইনজীবীরা। তারা অভিযোগ করেন, আসামিরা হাতেনাতে ধরা পড়লেও দ্রুত জামিন পেয়ে গেছে, যা ন্যায়বিচারের পরিপন্থি।
অন্যদিকে আসামিপক্ষ জানায়, বাদি আইনজীবী হওয়ায় তারা নিজেদের পক্ষে কোনো আইনজীবী পাননি। এমনকি লিগ্যাল এইড থেকে প্রাপ্ত আইনজীবীরাও শুনানিতে অংশ নিতে ভয় পান।
ঈদের ছুটি শেষে রোববার আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে বিচারকের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয়া হয়। এসময় কিছু আইনজীবী বিচারকের কক্ষে প্রবেশ করে ঘোষণা দিতে গেলে হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। বিচারকের নির্দেশে দরজা বন্ধ করতে গেলে স্টেনোগ্রাফার আশরাফুজ্জামান আহত হন। পরে বিচারক এজলাস ত্যাগ করেন।
আহত আশরাফুজ্জামান বলেন, আমি দরজা বন্ধ করতে গেলে কয়েকজন আইনজীবী হামলা করে। এতে আমি মাথায় আঘাত পাই।
তবে আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশিকুর রহমান পাল্টা অভিযোগে বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়েছিলাম, উল্টো আমাদের ওপর কর্মচারীরা হামলা করে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. রফিক উল্যাহ বলেন, এই জামিনের সিদ্ধান্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিচারকের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা তার আদালত বর্জন করছি।