নেত্রকোণার কলমাকান্দায় পারিবারিক কলহের জের ধরে সালমান (৬) নামের এক শিশুকে বিলের পানিতে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে উপজেলার কৈলাটী ইউনিয়নে ৭ নং ওয়ার্ডের কনুড়া গ্রামে নিলুয়া বিল থেকে সালমানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
গত বুধবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল শিশু সালমান। সে কলমাকান্দা উপজেলার কনুড়া গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে। এ ঘটনায় একই গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে তানিয়া আক্তারকে (১৮) সন্দেহ করে আটক করে গ্রামবাসী। থানায় সোপর্দ করলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করেছে তানিয়া।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পাশাপাশি বাড়ি ও প্রতিবেশি থাকায় তানিয়া আক্তারের (১৭) সাথে নিহত সালমানের ফুফু সুমাইয়ার (১৫) চলাফেরা ছিল। তানিয়ার চলাফেরা সন্দেহজনক এবং তাকে নিয়ে একাধিক সালিশী বৈঠকও হয়েছে এলাকায়। এ কারণে শিশুর বাবা আইনাল হক তার বোন সুমাইয়াকে তানিয়ার সাথে চলাফেরা ও মেলামেশা করতে নিষেধ করেন।
আরও পড়ুন: পদ্মায় মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু
সম্প্রতি স্থানীয় মাদরাসায় যাওয়ার পথে সুমাইয়ার পথরোধ করে কাপড় ধরে টানা হেঁচড়ার একপর্যায়ে বোরকা ছিড়ে ফেলে তানিয়া। সুমাইয়া দৌঁড়ে আশ্রয় নেয় পাশের আরেকটি বাড়িতে। এ ঘটনায় সালমানের বাবা বাড়িতে গিয়ে তানিয়াকে শাসন করে আসেন।
এরপর বুধবার নিখোঁজ হওয়ার পরদিন সালমানের মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুল্লাহ খান বলেন, পারিবারিক দ্বন্ধ এবং রাগ ও ক্ষোভে গত বুধবার বিকেলে তানিয়া ধাক্কা দিয়ে সালমানকে পানিতে ফেলে দেয়। শিশুটি সাঁতার না জানায় ডুবে মারা যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তানিয়া ঘটনা খুলে বলেছে। শিশুটির মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে বৃহস্পতিবার বিকালে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে জানান তিনি।
একাত্তর/এসজে