জুলাই বিপ্লবে শহীদ জসিম হাওলাদারের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে লামিয়ার ধর্ষণের স্বীকার হয়ে আত্মহত্যায় মৃত্যুর পর অসুস্থ হয়ে পড়েছে তার মা রুমা বেগম ও ছোট বোন। বর্তমানে তারা পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রোববার (২৭ এপ্রিল) রাতে লামিয়ার দাফনের পর তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে নিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তারা হাসপাতালে ভর্তি হন।
হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলরুবা ইয়াসমীন লিজা জানান, মানসিক চাপ থেকে পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅডারে (পিটিএসডি) তারা আক্রান্ত হন। তবে বর্তমানে অনেকটা ভালো আছেন।এ অবস্থায় নিকটজনদের কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে সম্পূর্ণ সুস্থতা ত্বরান্বিত হবে।
এদিকে লামিয়ার মা-বোনের অসুস্থতার খবরে হাসপাতালে খোঁজ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
জুলাই আন্দোলনরে শহীদ দুমকির পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের রাজগঞ্জ গ্রামের জসিম উদ্দিন হাওলাদারের মেয়ে গত ২৬ এপ্রিল রাতে রাজধানী ঢাকার শেখের টেকে মায়ের ভাড়া বাসায় গলায় ফাঁস দেয়। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎস্যক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
এর আগে গত ১৮ মার্চ লামিয়া বাবার কবর জিয়ারত করে দাদাবাড়ি থেকে নানাবাড়ি যাওয়ার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় সাকিব মুন্সি ও সিফাত মুন্সি নামে স্থানীয় দুই কিশোরকে আসামি করে পরদিন দুমকি থানায় মামলা করা হয়। পুলিশ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়। তাদের ডিএনএ টেস্টও করানো হয়েছে। তবে রিপোর্ট এখনও আসনি। এরই মধ্যে মানসিক চাপে লামিয়া আত্মহত্যা করেন।
লামিয়ার মরদেহ রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে পটুয়াখালী আনা হয় এবং বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। জানাজার নামাজে বিএনপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় লোকজন শরীক হন।