খাগড়াছড়িতে ১৯৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৯টি কেন্দ্রে একটি ভোটও পড়েনি। এছাড়া আরও ছয়টি কেন্দ্র মিলে মাত্র ১৯টি ভোট পড়েছে। জেলার পানছড়ি উপজেলার ২৪ কেন্দ্রের ১১টিতে শূন্য ভোট এবং দক্ষিণ লতিবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি ভোট পড়ে।
রোববার বিকেলে পানছড়ির সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা অঞ্জন দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দীঘিনালা উপজেলায় তিনটি কেন্দ্রে আসেননি কোনো ভোটার। আরও পাঁচটি কেন্দ্রে সব মিলিয়ে ১৮জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। লক্ষ্মীছড়িতে ১২ কেন্দ্রের পাঁচটিতেই ভোট পড়েনি। এরমধ্যে বর্মাছড়ি ইউনিয়নের চারটি ও সদর ইউনিয়নের একটি।
এসব উপজেলায় নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা কেন্দ্রে এসব তথ্য জানানো হয়।
তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো কথা বলেননি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, এসব কেন্দ্রগুলো মূলত প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) প্রভাবিত এলাকা। দলটির পক্ষ থেকে নির্বাচনে বাঁধা ও বিধি-নিষেধের কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি তার।
ইউপিডিএফ’র সংগঠক অংগ্য মারমা সরকারি দলের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, সরকারের নীল নকশার নির্বাচন প্রত্যাখান করেছেন ভোটাররা। এটা জনগণের মৌন প্রতিবাদ।