বাংলাদেশের নির্বাচনে ভারত সবসময় প্রভাব খাঁটিয়ে হাসিনার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। নৌকার মালিক হাসিনা, এই কারণে হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে চাইতো ভারত। হাসিনা ছাড়া আর কারো ভালো দেখে না তারা। হাসিনা ভারতের সহযোগিতায় ফ্যাস্টিটের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। একদিনেই হাসিনা ফ্যাস্টিট হয়নি। ভারতে আশ্রয়-প্রশ্রয়েই হাসিনা ফ্যাস্টিট হয়ে উঠছিলো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
তিনি বলেছেন, জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যা, হেলিকপ্টার থেকে গুলি হয়েছে ভারতের মদদে। ভারত যদি এক ব্যক্তিকে প্রশ্রয় না দিতো তাহলে দেশে এ ধরনের অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হতো না।
শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মাদাম এলাকায় উত্তর মজুপুর সনাতনী দেবনালয়ের উদ্যোগে অষ্টমীস্নান ও হরিনাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
তিনি বলেন, ভারতের পার্লামেন্টে বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়। এটাও একটা ষড়যন্ত্র। দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কোন ঘটনাই ঘটেনি। ভারত ১৬ বছর ধরে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে এবং উস্কানি দিচ্ছে। তাদের উস্কানিতে কেউ পা দিবেন না।
এ্যানি বলেন, সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সময়ে। ৫ আগস্টের পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ সবচেয়ে শান্তিতে ও নিরাপদে রয়েছে। সবাই মিলেমিশে থাকতে চাই। হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। সবার আগে বাংলাদেশ। দেশের স্বার্থে সবাই ঐক্যবদ্ধ। সংস্কার করার জন্য সবার আগে আমাদের প্রস্তাবনা ছিলো ৩১ দফা। সেই ৩১ দফায় স্পষ্ট জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার কথা বলা হয়েছে। সেখানে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট, একজন পরপর দু’বার প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রস্তাবনায় পার্লামেন্টে যিনি এমপি হবে, তার কথা বলার স্বাধীনতা রয়েছে। সবার জন্য শিক্ষা, সবার জন্য স্বাস্থ্য, গণমাধ্যম কমিশনের কথা বলা আছে। বিচারালয়, আইনের শাসনসহ সব সংস্কারের করে বাংলাদেশে একটা নতুন সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য স্পষ্ট বলা আছে। আমরা সংস্কারের ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। এ সংস্কার গত পাঁচ বছর ধরে ধীরে ধীরে আমরা চাচ্ছি, যা এখন ৩১ দফা। নির্বাচন, সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচার নিয়ে কোন দলের সাথে মত বিরোধ নেই। সবাই এ বিষয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। স্বৈরাচার পতনে যেসব দল একসাথে আন্দোলন ও সংগ্রাম করছে তাদের সাথে রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকতে পারে। কিন্তু হাসিনার বিচার নিয়ে কোনো বিরোধ নেই। হাসিনার বিচার সবার আগে চায় বিএনপি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শংকর মজুমদার, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সভাপতি ডা. রত্ন দ্বীপ পাল, সাধারণ সম্পাদক মানিক সাহা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্বপন চন্দ্র দেবনাথ ও সাধারণ সম্পাদক শিমুল সাহা।