নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে ঝড়ো বাতাস ও ঢেউয়ের তোড়ে পড়ে ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় আরো এক রোহিঙ্গা নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
তবে ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখনো পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলাম (২৮) ও এক রোহিঙ্গা শিশু নিখোঁজ রয়েছে।
মৃত দুই জন হলেন- ভাসানচর থানার সাব পোস্ট মাস্টার ও ফেনীর পৌর দৌলতপুর গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মো.গিয়াস উদ্দিন (৫৩) এবং ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৬১নং ক্লাস্টারের মো.তারেকের স্ত্রী হাসিনা খাতুন (২৫)।
রোববার (১ জুন) এ তথ্য নিশ্চিত করেন হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা। এর আগে, শনিবার বিকেল তিনটার দিকে উপজেলার করিম বাজার সংলগ্ন ডুবারচরের মেঘনা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজরা হলেন -সুধারাম থানার পুলিশ কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম (২৮) ও ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৬১নং ক্লাস্টারের মো. তারেকের ছেলে মো. তামিম (৩)।
শনিবার দুপুরে ভাসানচর থেকে চার জন পুলিশ সদস্য, রোহিঙ্গা রোগী, আনসার সদস্য ও বিভিন্ন এনজি সংস্থার লোকসহ ৩৯ যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার হরণী ইউনিয়নের আলী বাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। পথে ভাসানচর থেকে ৭-৮ কিলোমিটার দূরে গিয়ে করিমবাজার সংলগ্ন ডুবারচরের মেঘনা নদীতে বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।
ওসি এ কে এম আজমল হুদা বলেছেন, ৩৯ যাত্রী নিয়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৩৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। কোস্টগার্ডের উদ্ধারে অভিযান চলমান, এখনো দুই জনের খোঁজ পাওয়া যায়নি।