আবারও কিশোর গ্যাং আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাভারে। এক মাসের মধ্যে চারটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সাভার পৌরসভা এলাকায়। সর্বশেষ শুক্রবার হত্যার শিকার হয়েছেন রঙ মিস্ত্রী সাজ্জাদ হোসেন। সব হত্যায় কিশোর গ্যাং জড়িত বলে জানান এলাকাবাসী। যদিও পুলিশ বিষয়টিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি বলে মানতে নারাজ।
নাগরিক কমিটির নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের তৎপরতা বৃদ্ধির দাবি তুলেছেন।
শুক্রবার রাতে সাভার পৌরসভার আরাপাড়ার বালুর মাঠ এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে মারা যান ফার্নিচারের রঙ মিস্ত্রি সাজ্জাদ হোসেন। তিনি পরিবার নিয়ে বাস করতেন পৌরসভার রাজাশন এলাকায়।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, এলাকার কিশোর গ্যাং লিডার স্বপনের নেতৃত্বে এ হামলা হয় সাজ্জাদের ওপর৷ প্রথম আঘাটি করে কিশোর গ্যাং সদস্য আল আমিন।
দল নেতা স্বপনসহ দলের অন্যান্যদের নামে একাধিক মামলা রয়েছে।
নিহত সাজ্জাদের খালা জানান, তার পাঁচ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। তাদের পরিবারে আয় করার মতো আর কেউ নেই।
সাভার নাগরিক কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম জানান, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ আসলে ব্যর্থ। এখনে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান জানান, গোটা সাভারে কিশোর গ্যাং এর দৌরাত্ম্য বেড়েছে। গত এক মাসে সাভারের আলোচিত চারটি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এরা জড়িত।
গত ১১ মার্চ রাতে বিনোদবাইদে কাঠমিস্ত্রি সোহেল, ২১ মার্চ সোবহানবাগে আমজাদ এবং ২৮ মার্চ ছায়াবিথী আঙ্গিনায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী শহীদুলকে হত্যা করে কিশোর গ্যাং। সাধারণ মানুষের হিসাবে গোটা সাভার আশুলিয়ায় ৫০টির মত কিশোর গ্যাং এর অস্তিত্ব আছে। যদিও পুলিশ এব্যাপারে কোন পরিসংখ্যান দিতে পারে না।