গাজীপুরে গত ৮ মাসে সহিংসতার শিকার হয়েছেন ৫১৪ নারী। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি সহিংসতার শিকার হয়েছেন ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী নারীরা।
এর মধ্যে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিন জন। শুক্রবার আইন ও সালিশ কেন্দ্রের গাজীপুর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আইন ও কেন্দ্রের গাজীপুরের জেলা ব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান আমান জানান, গাজীপুর জেলার পাঁচ উপজেলার ৩৯ ইউনিয়নে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে কাজ করছে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের অগ্নি প্রকল্প। চলতি বছরের মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৮ মাসে গাজীপুরে বিভিন্ন বয়সের ৫১৪ জন নারীর সাথে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব সহিংসতার মধ্যে রয়েছে ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, সালিশ ও পারিবারিক নির্যাতন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্যানুযায়ী ০ থেকে ১০ বছর বয়সের ১৫ জন, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সের ৮১ জন, ২ থেকে ৩০ বছর বয়সের ৭৯ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের ৮৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের ৫৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সের ২০১ জন এবং ৬১ বছরের উপরে ১৫ জন নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হয়েছেন।
সহিংসতার শিকার হওয়া ৫১৪ জন ভুক্তভোগী নারীর মধ্যে সহযোগিতার প্রয়োজন ছিল ৩৪৪ জনের। এর মধ্যে আইনি সেবায় ১৪৫ জন, চিকিৎসাসেবায় ২৯ জন এবং মনস্তাত্ত্বিক পরামর্শ প্রয়োজন ছিলো ১৬১ জনের।
সংস্থাটির অগ্নি প্রকল্পের অধীনে প্রতিকারের ব্যবস্থায় প্রাথমিক কাউন্সেলিং সেবা নিয়েছেন ১৫৭ জন, আইনি সহায়তার পরামর্শ নিয়েছেন ৫১ জন, স্থানীয় পর্যায়ে সালিশের ব্যবস্থা করা হয়েছে ১৬ জনের, চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় ৫ জনকে এবং পরামর্শের ভিত্তিতে আদালতে মামলা করেছেন ১৬ জন নারী।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে প্রাপ্ত তথ্যে ৬৯ জন নারী সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৬ জন, ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার শিকার হয়েছেন ৪ জন, ধর্ষণের পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ৫ জন, বিভিন্নভাবে হত্যার শিকার ১৭ জন, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে ১২ জনের, শারীরিক নির্যাতনের শিকার ১২ জন এবং শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেন তিন জন নারী।