ঘন কুয়াশার কারণে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে শনিবার রাত থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পর রোববার সকালে চালু হয়েছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস পারাপার করছে। চার ঘাটে পারের অপেক্ষায় রয়েছে ৫ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ৮ ঘণ্টা ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে সাড়ে ১০ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিলো।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা অঞ্চলের ডিজিএম নাসির চৌধুরী জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘন কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে পুরো নৌপথ ঢেকে যায়। বিকনবাতি অস্পষ্ট হয়ে গেলে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এসময় উভয়ঘাটে ১২টি ফেরিকে আটকিয়ে রাখা হয়।
অপরদিকে, মানিকগঞ্জের আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটেও রাত সাড়ে ১১টায় ঘন কুয়াশার প্রকোপ বেড়ে গেলে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এসময় দুই ঘাটে পাঁচটি ফেরিকে আটকিয়ে রাখা হয়।
দুই নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চারটি ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আটকে পড়ে ছয় শতাধিক যানবাহন। এর মধ্যে চার শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক ছিলো। বাকিগুলো ছিলো নৈশকোচ, যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস ও কিছু কাঁচামালবাহী পিকআপভ্যান। পাটুরিয়াঘাটে কয়েকটি রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সও পারের অপেক্ষায় আটকে পড়ে।
ঘন কুয়াশা কেটে যাওয়ায় রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ও সকাল ৯টায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এরপর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নৈশকোচ ও যাত্রীবাহী বাস পার করানো হয়। পর্যায়ক্রমে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন নাসির চৌধুরী।