দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জে ছয়টি সংসদীয় আসনে মধ্যে ১, ২ ও তিন আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। পরে তিনটি আসনের সব স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দলীয় তিন প্রার্থীরও মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
রোববার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শহীদ শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে সিরাজগঞ্জ-১ (কাজীপুর), সিরাজগঞ্জ-২ (সদর ও কামারখন্দ) এবং সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) প্রথম পর্বে আসনের মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বেশিভাগ স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোটারের সঠিক তথ্য, ভোটারের সই ও মোট ভোটারের এক শতাংশ সংখ্যা কম হওয়ায় মনোনয়নপত্রগুলো বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ দাবি করে নির্বাচন কমিশনে আপিল করার ঘোষণা দিয়েছেন ওই সব স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
যাদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে তারা হলেন-
সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর)
আসনটিতে জাকের পার্টির রেজাউল করিম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মোস্তফা তালুকদারের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ-২ (সদর ও কামারখন্দ)
এই আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী সোহেল রানার মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ)
আসনে শরিফুল আলম খন্দকার (স্বতন্ত্র), সাখাওয়াত হোসেন সুইট (স্বতন্ত্র), আব্দুল হালিম খান দুলাল (স্বতন্ত্র) ও স্বপন কুমার রায় (স্বতন্ত্র), নুরুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), মোজাফফর হোসেন (স্বতন্ত্র) ও মুক্তিজোটের প্রার্থী নুরুল ইসলাম প্রামাণিকের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
এছাড়া মনোনয়নপত্র বাতিলের তালিকায় আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাও রয়েছেন।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রথম পর্বে বাছাই শেষে সিরাজগঞ্জ-১, ২ ও ৩ আসনের সাত জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। যে সব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা পাঁচ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফুল আলম খন্দকার বলেন, এক শতাংশ ভোটারের তালিকা দিয়েছি। কিন্তু ভোটারের নম্বর না দেওয়ায় আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার রায় বলেন, আমি চার হাজার ২০০ জন ভোটারের সই জমা দিয়েছি। কিন্তু ৫২৮ জন ভোটারের সই কম থাকায় আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আব্দুল হালিম খান দুলাল বলেন, নিয়মাবলীর কোথাও এক শতাংশ সইয়ে ভোটার নম্বর দেওয়ার কথা বলা হয়নি। অথচ সেই কারণে আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে আপিল করা হবে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সুইট বলেন, বেছে বেছে সব স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরই বাতিল করা হয়েছে। সবাইকে এক শতাংশ ভোটারের সঠিক তথ্য না দেওয়ার কারণ দেখিয়ে বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে আপিল করা হবে।
সোমবার সিরাজগঞ্জ-৪, ৫ ও ৬ আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে বলে জানা গেছে।