নাটোর ও বগুড়ায় তিন সাংবাদিকের ওপর দুর্বৃত্তরা অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এসময় নাটোর এক সাংবাদিককে হকিস্টিক ও বাটাম দিয়ে পিটিয়ে দুই হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং বগুড়ায় দুই সাংবাদিককে উপর্যুপুরি পোটানো হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন চোখে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। আহত তিন সাংবাদিকরা হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
নাটোর
নাটোর সদর উপজেলার চন্দ্রকলা কলেজের যুক্তিবিদ্যা বিষয়ের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ও নাটোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক প্রান্তজন পত্রিকার সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম সেলিমের ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
রোববার (৬ এপ্রিল( দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে চন্দ্রকলা বাজারে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এ সময় তারা সেলিমকে পাশের একটি চায়ের স্টলে নিয়ে তার মোবাইল ছিনিয়ে নেয় এবং হকিস্টিক ও বাটাম দিয়ে বেদম পেটায়। যেতে যেতে দুর্বৃত্তরা সেলিমকে আর কলেজে না আসার জন্য শাসায়। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক পলাশ কুমার সাহা বলেন, রোগীর শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং মারপিটে তার দুই হাতই ভেঙে গেছে।
এদিকে হামলার খবরে নাটোরের সাংবাদিকরা সাজেদুর রহমান সেলিমের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। পাশাপাশি দ্রুত হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবি জানিয়েছেন।
বগুড়া
বগুড়ায় দুর্বৃত্তদের হামলায় দুই সাংবাদিক আহত হয়েছেন। রোববার দুপুরে শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকার জেলখানা মোড়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে ৷
আহত সাংবাদিকরা হলেন- মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের জেলা প্রতিবেদক খোরশেদ আলম ও স্থানীয় অনলাইন পোর্টাল বগুড়া লাইভের প্রতিবেদক আসাউদ্দৌলা নিয়ন।
তারা বগুড়ায় সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এদের মধ্যে আহত নিয়ন ডান চোখে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন।
হামলার শিকার দুই সাংবাদিক জানান, দুপুরে তারা জলেশ্বরীতলার জেলখানা মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় সময় ১০ থেকে ১২ জন তরুণ তাদের বাড়ির ঠিকানা জিজ্ঞাসা করেন। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা হামলা করে বসেন।
এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবি করেছেন বগুড়ার সাংবাদিকরা। পুলিশ বলছে, জড়িতদের শনাক্ত ও আটকে চেষ্টা চলছে।