৮ ডিসেম্বর ১৯৮০ সালে মাত্র চল্লিশ বছর বয়সে চ্যাম্পম্যান নামের এক আততায়ীর গুলিতে নিহত হন সমসাময়িক বিশ্বের সব থেকে জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী জন লেনন। সে রাতটি ছিলো সংগীত অঙ্গনের কালরাত্রি। লেননের মৃত্যু বার্ষিকীতে বৃহস্পতিবার অ্যাপল টিভি প্লাসে মুক্তি পেয়েছে তার মৃত্যু নিয়ে তিন পর্বের তথ্যচিত্র সিরিজ ‘জন লেনন: মার্ডার উইদআউট আ ট্রায়াল’।
কী ঘটেছিলো সেদিন তা দেখানো হয়েছে এই তথ্যচিত্রে। তুলে ধরা হয়েছে, লেননের মৃত্যুর পরের ঘটনাগুলো।
প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান, হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়া স্থানের দুর্লভ বিভিন্ন আলোকচিতত্রের সমন্বয়ে এটিকে একটি তথ্যবহুল সিরিজ বলা যায়। তথ্যচিত্রে উত্তর জানার চেষ্টা করা হয়েছে, ডেভিড চ্যাপম্যান কেন লেননকে হত্যা করলেন?
এটি নির্মান করেছেন রব কোল্ডস্ট্রিম ও নিক হল্ট। আর ধারাবর্ণনা করেছেন কিফার সদারল্যান্ড।
তবে এই তথ্যচিত্রটি সমালোচনার বাইরে না। অনেকেই বলছেন ৪৩ বছর আগের প্রচলিত বিভিন্ন ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’কে উসকে দিয়েছে এই তথ্যচিত্র।
সিএনএন সিরিজটি নিয়ে রিভিউয়ের শিরোনাম দিয়েছে, ‘এই তথ্যচিত্রটি জন লেননের প্রতি সুবিচার করেনি’। যদিও বৃটিশ সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ান সিরিজটিকে ‘চলনসই’ বলেছে। তবে তারা সিরিজটিকে পাঁচে রেটিং করেছে তিন।
১৯৪০ সালের ৯ অক্টোবর ইংল্যান্ডের লিভারপুলে জন্ম জন লেননের। চারদিকজুড়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বীভৎসতার মাঝে জন্ম নেওয়া শিশুটিই ষাটের দশকের সংগীত জগতকে মাতিয়ে রেখেছিলেন। যাকে আজও মনে রেখেছে পৃথিবীর সকল সংগীত প্রিয় মানুষ। লেনন ও তার তিন বন্ধু পল ম্যাককার্টনি, জর্জ হ্যারিসন ও রিঙ্গো স্টার মিলে সৃষ্টি করেন কালজয়ী ব্যান্ড ‘বিটলস’। ষাটের দশকে সমস্ত পৃথিবী জুড়ে এক নতুন যুগের সূচনা করে ‘বিটলস’। এখনও তরুণদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় ‘বিটলস’।