কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রথমবার যোগ দিয়েছেন ভারতের বর্ষীয়ান অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ।
উপলক্ষ্য কান ক্লাসিকে তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ছবি ‘মন্থন', যা শুক্রবার দেখানো হয়েছে । এটির নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল। যদিও অসুস্থতার কারণে নির্মাতা আসতে পারেন নি। শ্যাম বেনেগালের কথা উঠতেই এলো বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক প্রসঙ্গ।
একাত্তরকে বাংলায় জানালেন ভালোবাসা। তবে অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ’র আক্ষেপ তিনি কখনো বাংলাদেশে ছবি করার প্রস্তাব পাননি।
তিনি বলেন, ‘আমি কখনো বাংলাদেশে ছবি করার ডাক পাইনি। বাংলাদেশের নির্মাতাদের জন্য বলছি, আমার দরজা সবসময় খোলা।’
‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় আরিফিন শুভর অভিনয়েল প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘মূল চরিত্রে যিনি অভিনয় করেছেন, তিনি দারুণ করেছেন। আমি ছবিটি উপভোগ করেছি। ছবিটি দারুণ ইনফরমেটিভ, ইন্টারেস্টিং এবং নাটকীয়।’
তিনি বলেন, ‘এটি দারুণ ছবি। কিন্তু দুর্ভাগ্য, ভারতে ছবিটি ব্যাপকভাবে দেখানো হয়নি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি দুইবার বাংলাদেশে গিয়েছি থিয়েটারে পারফর্ম করতে। কিন্তু সিনেমা করা হয়নি। আপনার মাধ্যমে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জানিয়ে দিতে চাই, আমার দরজা সবার জন্য খোলা।’
২৯ বছর পর এবার কানে প্রতিযোগিতা বিভাগে ভারতীয় ছবি। তবে নাসিরুদ্দিন বিশ্বাস করেন, আগামী দশ বছরে ভারতীয় সিনেমায় ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র দর্শকদের জন্য এই অভিনেতা বলেন, ‘আপনাদের জানা উচিত ভালো আর খারাপ ছবির পার্থক্য।’
সর্বশেষ ২০১৭ সালে ঢাকায় এসেছিলেন নাসিরুদ্দিন শাহ। সেবার তার নির্দেশিত ও অভিনীত ‘ইসমত আপা কে নাম’ নাটক নিয়ে এসেছিলেন তিনি।
‘মন্থন’ ভারতের গণ-অর্থায়নে নির্মিত প্রথম সিনেমা। গুজরাটের পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় পাঁচ লাখ গবাদিপশুর খামারি প্রত্যেকে দুই টাকা করে দিয়েছিলেন নির্মাতা শ্যাম বেনেগালকে। ওই টাকা দিয়ে তৈরি ‘মন্থন’ ছবিটি প্রদর্শিত হলো ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের ক্লাসিকস বিভাগে। এবারের আসরে এটিই একমাত্র ভারতীয় সিনেমা।
১৩৪ মিনিটের এই সিনেমা নির্মিত হয়েছে ভারতের দুগ্ধ সমবায় আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে। ১৯৭৭ সালে সেরা ছবি হিসেবে জাতীয় পুরস্কার জিতেছিলো ছবিটি। এই সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রয়াত অভিনেত্রী স্মিতা পাতিল, নাসিরুদ্দিন শাহ ও গিরিশ কারনাড।