ইউক্রেনে চলমান রুশ আগ্রাসনে এরইমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ খেরসন শহর নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রাশিয়া। দক্ষিণ ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দর নগরী দখল করে কারফিউ জারি করেছে রুশ সেনারা। বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। এমন অবস্থায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ইউক্রেন থেকে অবিলম্বে রুশ সৈন্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে প্রস্তুাব গৃহীত হয়েছে।
বুধবার (২ মার্চ) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এ প্রস্তাব নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। সবশেষ ১৯৮২ সালে সংস্থাটির নিরাপত্তা কাউন্সিলে সাধারণ পরিষদের জরুরি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, সাধারণ পরিষদে দুইদিনেরও বেশি সময় ধরে বিতর্ক শেষে এ প্রস্তুাব গৃহীত হয়। সাধারণ পরিষদের ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের ১৪১ টি এর পক্ষে ভোট দেয়। পরিষদে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত রাশিয়ার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তোলেন।
সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাবে রাশিয়ার ‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের’ নিন্দা জানানো হয়। এর বিপক্ষে ভোট দেয় রাশিয়া, বেলারুশ, ইরিত্রিয়া, উত্তর কোরিয়া এবং সিরিয়া। চীনসহ ৩৫টি সদস্য দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, বিশ্ব রাশিয়ার মিথ্যাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। ইউক্রেনে আমরা যে মানবিক বিপর্যয় দেখছি তার জন্য এবং আন্তর্জাতিক মানবিক সংকটের জন্যও রাশিয়া দায়ী।
আরও পড়ুন: রুশ হামলায় ইউক্রেন ছেড়েছে প্রায় দশ লাখ
প্রস্তাবে কঠোর ভাষায় ইউক্রেনে রুশ হামলার সমালোচনা এবং একইসঙ্গে পরমাণু শক্তিকে সতর্কাবস্থায় রাখার পুতিনের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানানো হয়।
জাতিসংঘ সনদের আর্টিকেল ৫১ অনুযায়ী মস্কো আত্মরক্ষার কথা বলে। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব মস্কোর এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, রাশিয়া জাতিসংঘ সনদের আর্টিকেল ২ লংঘন করেছে।
একাত্তর/আরবিএস