যুদ্ধের আটতম ইউক্রেনে ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এদিন রুশ বাহিনীর গোলাবর্ষণে ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন লেগেছে। এটি ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র।
এনারগোদারের মেয়র দিমিত্রো অরলভ জানায়, রাশিয়ান সেনাদের একটি বিশাল দল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নিকটবর্তী জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দিকে এগিয়ে যায়। এ সময় শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে গোলা বর্ষণের শব্দ শোনা গেছে। খবর রয়টার্স।
খবরে বলা হয়, এর আগে, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে হামলার আশংকার কথা জানিয়েছিলেন এনারগোদারের মেয়র দিমিত্রো। তিনি একটি অনলাইন পোস্টে বলেছেন স্থানীয় বাহিনী এবং রাশিয়ান সেনাদের মধ্যে তীব্র লড়াই হয়েছে। সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে বলে জানিয়েছেন দিমিত্রো অরলভ।
ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, রাশিয়ান সৈন্যরা ট্যাঙ্ক নিয়ে এনারগোদারে প্রবেশ করেছে এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দখলের জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অরলভ বলেছেন, রাশিয়ান সেনাদের গোলাবর্ষণের ফলে ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভবন এবং ইউনিটগুলোতে আগুন লাগে। এ ঘটনায় বৈশ্বিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে হামলার অষ্টম দিনে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভের তিন স্কুল ও এক উপাসনালয়ে হামলা চালায় রুশ সেনারা। খবর আল-জাজিরা।
খবরে বলা হয়, হামলায় সিটি কাউন্সিল ভবনের পাশের কয়েকটি দোকানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামরিক অভিযান ঘোষণার কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। ইউক্রেন দাবি করেছে, যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের দুই হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। যদিও নিহতের নির্দিষ্ট সংখ্যা জানায়নি তারা। এ ছাড়া রাশিয়ার ৫ হাজার ৪৮০ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি ইউক্রেনের।
অন্যদিকে রাশিয়া দাবি করেছে, যুদ্ধে তাদের ৪৯৮ সৈন্য নিহত এবং আরও এক হাজার ৬০০ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া রুশ হামলায় ইউক্রেনের ২ হাজার ৮৭০ জনের বেশি ইউক্রেনিয় সেনা নিহত এবং প্রায় ৩ হাজার ৭০০ জন আহত হয়েছে।
একাত্তর/এআর