যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা মরুভূমিতে সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে কয়েক
হাজার যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ। যেনো বিমানের কবরস্থান।
যাকে বিশ্বের বৃহত্তম বিমান সংরক্ষণ কেন্দ্র বলা হয়ে থাকে। বছরের পর বছর পড়ে থাকতে থাকতে বেশিরভাগই এখন ধ্বংসের অপেক্ষায়।
শরীরে জমেছে ধুলো, কারও ডানায় ধরেছে মরচে। তবু কেউ কেউ এখনও বীর বিক্রমে ওড়ার অপেক্ষায়। চায় শত্রুপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিতে। কিন্তু তার বেশিরভাগ সঙ্গীই মৃতপ্রায়।
জায়গাটা যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার টুকসনে। এখানেই রয়েছে যুদ্ধবিমানের কবরস্থান। মরুভূমিতে এমনই হাজার হাজার যুদ্ধবিমান সারি বেধে দাড়িয়ে আছে।
তবে এই কবরস্থানে সবাই মৃত নয়, কেউ কেউ মৃত্যুর অপেক্ষায়। কেউ এখনও আবার আকাশে ডানা মেলার অপেক্ষায়।
২,৬০০ একর জুড়ে থাকা ডেভিস-মন্থান বিমান ঘাঁটিতে প্রায় চার হাজার বিমান সাজিয়ে রাখা হয়েছে। যাকে বিশ্বের বৃহত্তম বিমান সংরক্ষণ কেন্দ্র বলা চলে।
এই সামরিক বিমানগুলোকে যুদ্ধের সময় সাময়িক ভাবে ‘পার্ক’ করা হয় অথবা, পরে বিক্রি কিংবা পুনর্ব্যবহারের জন্য রেখে দেয়া হয়।
কিন্তু বছরের পর বছর পড়ে থাকতে থাকতে বেশিরভাগ ধ্বংসের অপেক্ষায়। কেন অ্যারিজোনায় রাখা হয় এই যুদ্ধবিমান?
ঘাঁটির চারপাশে শুষ্ক আবহাওয়া সেই স্থানটিকে বিমান সংরক্ষণের আদর্শ জায়গা করে তুলেছে। কম আর্দ্রতার জন্য মাটি এতোই শক্ত যে বিশাল বিমান রাখা হলেও তা মাটির ভেতরে ঢোকে না।
বিশালাকার কার্গো উড়োজাহাজ থেকে ভারী বোমারু বিমান থেকে যাত্রীবাহী বিমান, সবই থাকে অ্যারিজোনান সেই ডাম্পিং স্টেশনে।
যাদের আর একেবারেই ওড়ানো যাবে না, তাদেরও রাখা হয়। কোনও সময় খুচরো যন্ত্রাংশের প্রয়োজন হলে সেগুলোকে ব্যবহার করা হয়।
ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বিমানের ইঞ্জিন এবং জানালা সব সময় সাদা, অর্থাৎ আলো প্রতিফলিত হবার উপাদান দিয়ে ভাল করে ঢেকে দেয়া হয়।
এভাবে ঢাকা অবস্থায় নির্দিষ্ট পরিবেশে একটি বিমানকে বছরের পর বছর ধরে নিরাপদে সংরক্ষণ করা হয়। উড়োজাহাজের এই কবরস্থান দেখতে আমেরিকানদেরও রয়েছে অনেক কৌতুহল।
একাত্তর/এসএ