ব্রিটেনের সরকারি কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, আসছে জানুয়ারি থেকে বিদ্যুতের দাম এবং লোডশেডিং উভয়ই বাড়বে দেশটিতে।
বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইতোমধ্যে দেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার এক ষষ্ঠাংশ ঘাটতি তৈরি হয়েছে। সামনের শীতে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই ঘাটতি আরও বাড়বে।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের জেরে রাশিয়ার কয়লার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাজ্য। কয়লার যোগান কমে যাওয়ায় দেশটির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন ব্যাপক কমে গেছে।
এই ঘাটতি মোকাবেলায় কিছুদিন আগে দেশটির জরুরি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রগুলো পুনরায় চালু করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাবে না।
কারণ, নরওয়ে ও ফ্রান্স থেকে বিদ্যুৎ আমদানি হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে শীত বেশি হলে গ্যাসচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে অন্যান্য সেবা চালু রাখতে হবে।
এমন পরিস্থিতিতে লোডশেডিংয়ের মুখে পড়বে যুক্তরাজ্য। প্রাথমিক অনুমান অনুসারে, মোট চাহিদার প্রায় ৬ শতাংশ পর্যন্ত ঘাটতি হতে পারে শীত মৌসুমে।
যার গুরুতর প্রভাব পড়তে যাচ্ছে দেশটির বিদ্যুৎ উৎপাদনখাতে। বর্তমানে যুক্তরাজ্যে ৪-৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি পরিবারকে বিদ্যুত বিল বাবদ প্রতি বছর পরিশোধ করতে হয় দুই হাজার পাউন্ড।
দেশটির জ্বালানি কর্তৃপক্ষের ধারণা করছে, শীত তীব্র হলে চারদিন পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকতে পারে। তাই এখন থেকেই লোডশেডিংয়ের পরিকল্পনা সাজাচ্ছে তারা।
তবে কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের আশ্বস্ত করে বলেছে, গৃহস্থালি, ব্যবসা এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ এবং গ্যাস সরবরাহ করা হবে।
আরও পড়ুন: রুশ পর্যটকদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চায় ইউক্রেন
ব্রিটেনের এই পরিস্থিতি আরও নাজুক হবে যদি ফ্রান্স, নরওয়ে, বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে সংযুক্ত তাদের বিশাল তারের সংযোগে বিদ্যুতের সরবরাহ কমে যায়।
একাত্তর/আরএ