তিনদিনের ব্যবধানে আবারও দুটি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এ নিয়ে গত দুই সপ্তাহে সাতবার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো দেশটি।
রোববার (৯ অক্টোবর) রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় ভোররাত পৌনে দুইটা নাগাদ ক্ষেপণাস্ত্র দুটি উৎক্ষেপণ করা হয় বলে জানিয়েছে জাপান।
জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী তোশিরো ইনো জানান, প্রথম মিসাইলটি ১টা ৪৭ মিনিটে ও দ্বিতীয়টি তার ছয় মিনিট পর উৎক্ষেপণ করা হয়। এ দুটো প্রায় ১০০ কিলোমিটার উপরে উঠে ৩৫০ কিলোমিটার দুরত্ব অতিক্রম করে।
টোকিও উত্তর কোরিয়ার এ ধরনের আচরণের পুনরাবৃত্তি বরদাস্ত করবে না বলে হুঁশিয়ার করে দেন তিনি।
মিসাইল দুটো জাপানের অর্থনৈতিক জোনের ঠিক বাইরে পড়ে বলে জানানো হয়েছে। এগুলো ঠিক কী ধরনের মিসাইল ছিল, আর এগুলো সাবমেরিন থেকে ছোঁড়া হয়েছিলো কিনা তা খতিয়ে দেখছে জাপান।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়া বলছে, উত্তর কোরিয়ার এসব ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের অর্থ হতে পারে তারা ২০১৭ সালের পর প্রথমবারের মতো পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এসব ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ নিয়ে মিত্রদের সাথে নিবিড় আলাপ-আলোচনা চলছে। এসব পরীক্ষা উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ও ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের 'অস্থিতিশীল প্রভাব'কে তুলে ধরে বলেমন্তব্য করেছে তারা।
তবে, সাম্প্রতিক এসব পরীক্ষা যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশের সদস্যদের প্রতি হুমকি নয় বলে আবারও জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: হ্যাকিংয়ের শিকার ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল
হাওয়াইয়ে অবস্থিত মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড এক বিবৃতিতে বলে, রিপাবলিক অব কোরিয়া ও জাপানের প্রতিরক্ষার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার এখনও লৌহের মতো দৃঢ়।
জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র বিষয়ক দূত এক টেলিফোন আলাপে উত্তর কোরিয়ার এই আচরণ নিয়ে আলোচনা করেছেন। এসব ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা সিভিল অ্যাভিয়েশনের জন্য ঝুঁকি এবং ওই অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করে বলে একমত তারা।
একাত্তর/এসজে