বহুতল ভবনের এক ছাদ থেকে অন্য ছাদে লাফিয়ে বেড়ানো অনেকটা নেশার মতো ছিল ফরাসি নাগরিক রেমি লুসিডির। কিন্তু এবার তা আর হলো না।
হংকংয়ের একটি ৬৮ তলা উঁচু আবাসিক ভবন থেকে পড়ে মারা গেছেন ৩০ বছর বয়সী এই তরুণ। তাকে ভবনের নিচে মৃত অবস্থায় পায় পুলিশ।
পর্দার স্পাইডারম্যানের সাথে মোটামুটি সব দেশের সিনেমাপ্রেমীরাই পরিচিত। তবে সিনেমার বাইরেরও একজন সত্যিকারের স্পাইডারম্যান আছে।
যিনি ঐতিহাসিক সব অবকাঠামো, আকাশচুম্বী ভবন খালি হাতে, কোনো সুরক্ষা ছাড়াই আরোহন করেন। তিনি হলেন ৩০ বছরের ফরাসি যুবক রেমি লুসিডি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি পরিচিত রেমি এনিগমা নামে। সবচেয়ে উঁচু ভবন, ক্রেন, সেতু, তোরণ এমনকি ট্রান্সমিটারে একইভাবে আরোহন করে সৃষ্টি করেছেন ইতিহাস।
কিন্তু হংকংয়ে একটি স্কাইস্ক্র্যাপারের ৭২১ ফুট উপর থেকে পড়ে শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যু হয়েছে। হংকংয়ের কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় সময় ভোর ৬টার দিকে লুসিডি ওই ভবনে যান এবং গেইটে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীদের জানান, তিনি ৪০ তলায় তার এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন।
লুসিডি তার পরিচিত না, কথিত ওই বন্ধু নিরাপত্তা রক্ষীদের এমনটি নিশ্চিত করার পর তারা তাকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ততক্ষণে তিনি ভবনের একটি লিফটে ঢুকে পড়েন।
তবে সকাল ৭টা ৩৮ মিনিটেও তিনি জীবিত ছিলেন। ওই সময় পেন্টহাউসের কাঁচের জানালায় ধাক্কা দিয়েছিলেন তিনি। এতে ওই অ্যাপার্টমেন্টের এক গৃহকর্মী আতঙ্কিত হয়ে পুলিশে খবর দেন।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ওই পেন্টহাউসের বাইরে লুসিডি আটকা পড়ে যাওয়ার পর জানালায় ধাক্কা দিয়ে সাহায্য চেয়েছিলেন, কিন্তু নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যান তিনি।
অবশ্য পরে পুলিশ তার ক্যামেরার খোঁজ পেয়েছে। তার শেষ মুহূর্তের কঠিন সব শর্টসের ছবি ও ভিডিও আছে। এ থেকে হয়তো তাঁর শেষ মুহুর্তের মৃত্যুর ছবি মিলবে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
একাত্তর/আরবিএস