মহাকাশে এক্স-৩৭বি নামে রোবটিক স্পেসপ্লেন উৎক্ষেপণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ফ্লোরিডায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে রোবটিক স্পেসপ্লেনটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এক্স-৩৭বি ২০২০ সালের পর থেকে মহাকাশে মার্কিন সামরিক বাহিনীর তৃতীয় মিশন।
এক্স-৩৭বি রোবটিক স্পেসপ্লেন যা মূলত মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি গোপন মিশন। এর আগে অন্তত ছয়বার স্পেসপ্লেন উৎক্ষেপণ করেছিল তারা।
দুই সপ্তাহ আগে চীন নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি রোবটিক স্পেসপ্লেন মহাকাশে উৎক্ষেপণ করেছে। চীনের রোবট স্পেসপ্লেনটি শেনলং বা ডিভাইন ড্রাগন নামে পরিচিত। চীনের পরই যুক্তরাষ্ট্রও তাদের স্পেসপ্লেন পাঠালো। এর মাধ্যমে মহাকাশে দেশ দুটির ক্রমবর্ধমান প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নতুন মাত্রা যোগ করলো।
স্পেসপ্লেন উৎক্ষেপণে এবারই প্রথম স্পেসএক্স ফ্যালকন হেভি রকেট ব্যবহার করা হয়েছে। ফ্যালকন হেভি রকেট তিনটি তরল-জ্বালানিযুক্ত রকেট কোরের সমন্বয়ে গঠিত। রকেটটি এ স্পেসপ্লেনকে আগের চেয়ে উচ্চতর গতিতে কক্ষপথে পৌঁছে দিতে সক্ষম হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এক্স-৩৭বি ২০২০ সালের পর থেকে মহাকাশে মার্কিন সামরিক বাহিনীর তৃতীয় মিশন। তবে মিশন সম্পর্কে খুব কমই তথ্য প্রকাশ করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন।
এই মিশন বছরের পর বছর স্থায়ী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং সামরিক বাহিনীর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্পেস লঞ্চ কর্মসূচির অধীনে মার্কিন স্পেস ফোর্সের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। বোয়িং নির্মিত এই স্পেসপ্লেনটি প্রায় ২৯ ফুট লম্বা এবং একটি মিনি স্পেস শাটলের মতো। মনুষ্যবিহীন মহাকাশযানটি বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মিশনটি ছিল ২০১০ সালে। এরপর ২০২০ সালে আরও বেশ কয়েকটি মিশন পরিচালনা করা হয়। ফ্লাইটগুলো ২ হাজার কিলোমিটার নীচের উচ্চতায় নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে সীমাবদ্ধ ছিল।
পেন্টাগন তার সবশেষ মিশনের সময় স্পেসপ্লেনটি কতটা উঁচুতে উড়বে তা জানায়নি।
এক্স-৩৭বি মহাকাশের পরিবেশে উদ্ভিদের বীজ কীভাবে প্রভাবিত হয় তা জানার জন্যও পরীক্ষা চালাবে বলে জানানো হয়েছে। তবে মিশনটির পরিকল্পিত সময়কালও স্পষ্ট করা হয়নি। এটি সম্ভবত ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত বা তার পরও চলবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এর আগের মিশনটি আড়াই বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল।