অনেকেই মনে করে থাকেন ইসলামি দেশগুলোতে সিনেমা, নাটক, মঞ্চ, গান এসব প্রায় নিষিদ্ধ। তবে এই ধারণা একদমই ঠিক নয়। অবাক করা তথ্য, আরব দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সিনেমা হলে রয়েছে কট্টরপন্থী ইসলামী শাসনের দেশ- সৌদি আরব। আর সবগুলোই সিনেমা হল আধুনিক মানের।
তবে এটা ঠিক একটা সময়ে সৌদি আরবে সিনেমা হলো ছিলো না। অন্যভাবে বলা চলে যেগুলো ছিলো বন্ধ ছিলো। দেশটিতে প্রায় চার দশক পর ২০১৮ সালে সিনেমা হলগুলো পুনরায় চালু করা হয়। আর নতুন করে সিনেমা হল খুলে দেয়ার ৬ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে সৌদি আরব।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সৌদিতে সিনেমা হল রয়েছে ৬৬টি। এসব হলে আছে ৬১৮টি পর্দা। ২২টি শহরজুড়ে থাকা এসব সিনেমা হলে ৬৩ হাজার ৩০০ আসন রয়েছে, যা আরব বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ।
গত ছয় বছরে সৌদিতে প্রায় ১ হাজার ৯০০ সিনেমা প্রদর্শিত হয়েছে। যার মধ্যে ৪৫টি সৌদির নিজস্ব। বাকিগুলো বিদেশ ও বিভিন্ন ভাষার সিনেমা। ইংলিশ থেকে শুরু করে হিন্দি তামিল ভাষার সিনেমাও দেখানো হয়। এসব সিনেমা প্রদর্শনীর মাধ্যমে আয় হয়েছে ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন রিয়াল। শুধু গত বছর দেশটিতে ১৬ হাজার ৬০০ মিলিয়ন টিকিট বিক্রি হয়েছে।
সিনেমা প্রদর্শনীর পাশাপাশি সিনেমা বিষয়ক বিভিন্ন উৎসবও আয়োজন করছে সৌদি। গত সপ্তাহে দেশটিতে গালফ সিনেমা উৎসব হয়। আন্তর্জাতিক দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে বিশ্বের অন্যান্য দেশ এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে একাধিক চুক্তি সই করেছে সৌদি।
আন্তর্জাতিক দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে বিশ্বের অন্যান্য দেশ এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সৌদি। গত মাসে সৌদি ফিল্ম কমিশন চীনের বোনা ফিল্ম গ্রুপের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এর মাধ্যমে সৌদির ছবি চীনের বাজারে প্রবেশের সুযোগ পায়।
এছাড়া এই চুক্তির মাধ্যমে এই দুই দেশ প্রশিক্ষণ, দক্ষতা উন্নয়ন এবং যৌথ সিনেমা তৈরির ফান্ডসহ নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন সহযোগিতার দ্বার উন্মোচন করে। সৌদির সরকার পাঁচটি দেশে সৌদির ছবি প্রদর্শনীর একটি উদ্যোগ নিয়েছে। এর আওতায় সৌদির ছবি দেখানো হবে মরক্কো, অস্ট্রেলিয়া, চীন, ভারত এবং মেক্সিকোতে।