পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় ভারী বর্ষণ ও বন্যায় গেলো ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২১০ জনে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ৯০ জন মানুষ।
কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো শুক্রবার রাজধানী নাইরোবির স্টেট হাউজে দেয়া এক ভাষণে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর আনাদোলু নিউজ এজেন্সির।
রুটো বলেন, চলতি সপ্তাহে কেনিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় হিদায়া আঘাত হানতে পারে। যার ফলে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে আরও খারাপ হতে পারে পরিস্থিতি।
ঘূর্ণিঝড় হিদায়া নিয়ে সতর্কতা জারির পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত দেশটির সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন তিনি।
কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভারী বর্ষণ ও বন্যার কারণে দেশটিতে এক লাখ ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বন্যা ও ভূমিধস শুরুর পর থেকে এখনও নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ৯০ জন।
কিতেঙ্গেলা শহরমুখী মহাসড়কের একটি অংশ এবং দেশের আরও অন্তত তিনটি সড়ক বন্যা ও আবর্জনার কারণে বন্ধ রয়েছে।
এরইমধ্যে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধারকারী কুকুর নিয়ে তল্লাশি অভিযানে যোগ দিয়েছে।
এছাড়া, রাজধানী নাইরোবি থেকে ২১৫ কিলোমিটার দূরে নারোকের একটি ক্যাম্পে আটকা পড়া পর্যটকদেরও উদ্ধারের চেষ্টা করছে রেডক্রস।
কেনিয়ার সরকার ঘোষণা করেছে, তারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য হাসপাতালের সমস্ত খরচ বহন করবে। পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার পরিবারগুলোর আর্থিক বোঝাও (ঋণ) কমিয়ে দেয়া হবে।
এদিকে কেনিয়ার প্রতিবেশী দেশ তাঞ্জানিয়ায় প্রবল বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ১৫৫ জন নিহত হয়েছে। হতাহতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।