দখলদার ইসরাইলে শিগগিরই প্রতিশোধমূলক হামলা চালাতে পারে ইরান, এমন আশঙ্কার মধ্যেই উত্তর ইসরাইলে একের পর এক রকেট হামলা চালাচ্ছে লেবাননভিত্তিক প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ। তবে এখন পর্যন্ত হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বরাতে মিডিল ইস্ট মনিটর এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার লেবানন থেকে উত্তর ইসরাইলের গ্যালিলে অঞ্চলে প্রায় ৫৫টি রকেট ছোড়া হয়েছে।
সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গ্যালিলি অঞ্চলে অ্যালার্ম ব্যবস্থা সক্রিয় করার পর, লেবাননের ভূখণ্ড থেকে ছোঁড়া প্রায় ৩৫টি রকেট শনাক্ত করা হয়। কয়েকটি রকেট ভূপাতিত করা হলেও বেশিরভাগ রকেট খোলা জায়গায় আঘাত হানে।
এদিকে ডেইলি মারিভ জানিয়েছে, লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ শনিবার সকালে সাফেদ শহর এবং শহরের দক্ষিণ অংশের আকবারা গ্রামে প্রায় ২০টি রকেট নিক্ষেপ করেছে।
এমন পরিস্থিতিতে যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসব অঞ্চলের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রের কাছাকাছি থাকার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ইসরাইল-লেবানন সীমান্ত থেকে প্রায় ৪১ কিলোমিটার (২৫ দশমিক ৫ মাইল) দূরের সাফেদ শহরে শুক্রবার রাতেও রকেট হামলা চালিয়েছে সংগঠনটি। এসময় সাফেদের বেশ কিছু স্থাপনায় আগুন ধরে যায়।
ইসরাইলি বাহিনী বলছে, শনিবারের হামলার জবাবে দক্ষিণ লেবাননের একটি রকেট লঞ্চিং প্ল্যাটফর্ম লক্ষ্য করে পাল্টা ড্রোন হামলা চালিয়েছে তারা। পাশাপাশি হিজবুল্লাহর সামরিক ভবনসহ দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আর্টিলারি হামলা চালানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
গেলো বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরাইলে এই দশকের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান চালায় গাজার হামাস সরকার। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরাইল। এ আগ্রাসনে ৪১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন এক লাখের বেশি মানুষ।
চলমান এ গণহত্যার প্রতিবাদে ইরাক, ইরান, লেবানন, ইয়েমেনসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশের একাধিক রাজনৈতিক সংগঠন ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে এবং লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।