প্রায় এক মাস আগেই কাতারের কর্মকর্তারা জানিয়ে দেয় যে, ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আর কাজ করবে না। শুধু তাই নয়, রাজধানী দোহায় হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয় নিয়ে সতর্ক করে কাতার জানিয়ে দেয়, এ কার্যালয়ের আর প্রয়োজন নেই।
তারই ধারাবাহিকতায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সিনিয়র অনেক নেতা কাতার থেকে তুরস্কে পাড়ি জমিয়েছেন বলে দাবি করেছে ইসরাইলি মিডিয়া কান। যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে হামাস রাজি না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের চাপে হামাস নেতারা কাতার ছেড়ে তুরস্কে যান বলে জানা গেছে।
যদিও এনিয়ে কাতারের কর্মকর্তারা কোন ধরনের প্রতিক্রিয়া জানায়নি। প্রায় তিন সপ্তাহ আগে কাতার জানায় যে, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইসরাইল ও হামাস আন্তরিকতা দেখালে তারা আবারও মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় ফিরতে রাজি আছে। আর দোহা থেকে হামাসের কার্যালয় তুলে দেয়ার বিষয়েও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
চলতি মাসের প্রথম দিকেই মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, হামাস নেতাদের কাতার ত্যাগ করতে বলার জন্য কাতারকে অনুরোধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের একটি সূত্র কানকে জানান, কাতারের কর্মকর্তারা হামাস নেতাদের জানিয়েছেন যে, আপনারা আর এখানে কাঙ্ক্ষিত নন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সও জানায়, যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় কয়েক সপ্তাহ ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হামাস নেতাদের বহিষ্কার করার জন্য কাতারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। অন্যদিকে গাজায় ইসরাইলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকেই হামাসের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে আসছিল তুরস্ক।
গত আগস্টে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়া নিহত হওয়ার পর এক দিনের শোক দিবস ঘোষণা করেছিলেন। শোক প্রকাশ করার জন্য তেল আবিবে তুর্কি দূতাবাসের পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। এর আগে মার্চে আঙ্কারা 'দৃঢ়ভাবে' হামাসের প্রতি সমর্থন জানায়।