যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডো এবং তীব্র ঝড়ের আঘাতে অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনই দেশটির মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা। কানসাসে মারা গেছেন আটজন। রোববার যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের ওপর দিয়ে ভয়াবহ টর্নেডো বয়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাত এবং শনিবার ভোরে ২৬টি টর্নেডো আঘাত হানার খবর পাওয়া গেছে। আরকানসাস, ইলিনয়, মিসিসিপি এবং মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের কিছু অঞ্চলে শক্তিশালী বজ্রপাত হয়েছে।
তাই সেখানে নতুন করে টর্নেডো আঘাত হানতে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। টর্নেডো ও ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বাড়ি-ঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন গভর্নর ব্রায়ান কেম্প। প্রয়োজনে দ্রুত সরিয়ে ফেলার জন্য স্থানীয়দের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
টর্ণেডোতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওইসব রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা। অসংখ্য ঘরবাড়ি ভেসে গেছে; বহু গাড়ি উল্টে গেছে। মিসৌরির পাশাপাশি কানসাস অঙ্গরাজ্যে কমপক্ষে আট জন নিহত হয়েছেন। ধূলিঝড়ের কারণে সেখানে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে অর্ধশতাধিক গাড়ি।
পাওয়ার আউটেজ ট্র্যাকার অনুযায়ী, স্থানীয় সময় রোববার সকালে মিশিগান, মিসৌরি এবং ইলিনয়সহ সাতটি অঙ্গরাজ্যের আড়াই লাখ ঘরবাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে।
অন্যদিকে মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে ঝড়ের কবলে ছয়জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সেখানকার গভর্নর টেট রিভস। ঝড়ের কবলে আরকানসাসে তিনজনের মৃত্যু এবং ২৯ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে ওকলাহোমা ও টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে একজন করে নিহত হয়েছেন।
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল জুড়ে তীব্র আবহাওয়া অব্যাহত থাকায় মিসিসিপি, পূর্ব লুজিয়ানা এবং পশ্চিম টেনেসির পাশাপাশি আলাবামা এবং আরকানসাসের কিছু অংশে আকস্মিক বন্যা এবং বন্যার সতর্কতা জারি করা হয়েছে।