ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবের কাছে বেন গুরিওন বিমানবন্দর লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করার দাবি করেছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। বৃহস্পতিবার এক টেলিভিশন বিবৃতিতে গোষ্ঠীটির সামরিক মুখপাত্র এ কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে, ইয়েমেন থেকে নিক্ষিপ্ত একটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার দাবি করছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে হুথিদের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, শনিবার থেকে মার্কিন হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে আছে তারা। এর জবাব দিতেই তেল আবিবের কাছে বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের দিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়। মার্কিন হামলা বন্ধে না হলে তেল আবিবের বিরুদ্ধে তাদের হামলার আওতা বৃদ্ধি পাবে।
আর ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার পর ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় সতর্ক সংকেত বেজে ওঠে। তেল আবিব ও জেরুজালেমে সতর্ক সংকেত শোনা গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। ইয়েমেন থেকে নিক্ষিপ্ত একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলি আকাশসীমায় পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী এ সময় সতর্ক সংকেত বাজানো হয়।
দীর্ঘদিন ধরে লোহিত সাগরে ইসরাইল ও পশ্চিমা সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক জাহাজে হুথিদের আক্রমণের জবাবে অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা নেয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তম মার্কিন অভিযান এটি। মঙ্গলবার হুথিরা বলেছে, ইসরাইলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা শুরু করেছে তারা। গাজায় আগ্রাসন পুনরায় শুরু হওয়ায় তেল আবিবের বিরুদ্ধে তাদের হামলার আওতা বৃদ্ধি পাবে।
২০২৩ সালের শেষদিকে ফিলিস্তিনে শুরু হওয়া ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা শুরু করে ইয়েমেনি গোষ্ঠী। গাজাবাসীর প্রতি সমর্থন জানানোর দাবি করে, শতাধিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে তারা। তাদের হামলায় বিশ্ব বাণিজ্যে ক্ষতি যেমন হয়েছে তেমনি তাদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে গিয়ে মার্কিন বাহিনীর প্রচুর ব্যয় হয়েছে।
ইয়েমেনি হুথিদের প্রতিরোধের অক্ষ বলে বিবেচনা করে থাকে পশ্চিমারা। এই অক্ষে রয়েছে ইসরায়েল ও পশ্চিমা জোট বিরোধী আঞ্চলিক সব সশস্ত্র গোষ্ঠী, যেমন হামাস, হিজবুল্লাহ এবং ইরাকের সশস্ত্র সব গোষ্ঠী। এসব গোষ্ঠী ইরানের সহায়তায় পরিচালিত হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।