চলতি বছরের এপ্রিলের প্রথম তিন সপ্তাহে এক লাখের বেশি আফগান শরণার্থী পাকিস্তান ছেড়েছেন। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে। বসবাসের অনুমতি বাতিলের পর বাধ্য হয়ে পাকিস্তান ছাড়ছেন তারা। এসব আফগানদের সন্ত্রাসী ও অপরাধী আখ্যা দিয়ে পাকিস্তান সরকার ১ এপ্রিল থেকে অভিযান শুরু করে।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এপ্রিল মাসে এক লাখ ৫২৯ জন আফগান শরণার্থী নিজ দেশে চলে গেছেন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তালেবান সরকারের ওপর চাপ তৈরি করতেই পাকিস্তান এই পদক্ষেপ নিয়েছে। কারণ পাকিস্তান সম্প্রতি সীমান্তে হামলা বেড়েছে।
এজন্য মূলত তালেবান সরকারকেই দায়ী করছে ইসলামাবাদ। এসব বিষয় সমাধানে সম্প্রতি তালেবান নেতাদের সাথে সাক্ষাৎও করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দেশটিতে প্রায় ৪০ লাখ আফগান বসবাস করছেন। সরকারের আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী, তাঁদের মধ্যে ১৭ লাখই অনিবন্ধিত।
যুদ্ধবিগ্রহের কারণে দশকের পর দশক ধরে আফগানিস্তানের এসব নাগরিক পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করছিলেন। এদের অনেকেই পাকিস্তানে জন্মগ্রহণ করেছেন, সেখানে বিয়ে করেছেন, সন্তান-সন্ততিও আছে। তাঁরাও পাকিস্তানে বেড়ে উঠেছেন। আফগানিস্তানে তাঁদের কখনোই যাওয়া হয়নি। তাঁরা বুঝতে পারছেন না, আফগানিস্তানে গিয়ে তাঁরা কী করবেন, কিংবা তাঁদের জন্য সেখানে কী অপেক্ষা করছে।
তবে পাকিস্তান সে দেশে বসবাস করা আফগান শরণার্থীদের ব্যাপকভাবে বহিষ্কার করতে শুরু করেছে। চলতি এপ্রিলের মধ্যে ৮০ হাজার শরণার্থীকে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্য রয়েছে পাকিস্তান সরকারের। বলা যায়, এই সিদ্ধান্ত আফগান শরণার্থীদের কাছে বজ্রাঘাতের মতো হয়ে এসেছে।