গাজা উপত্যকা দখলে নেয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকার পাশাপাশি টানা প্রায় তিন মাস অবরোধের পর, সেখানে সীমিত পরিসরে মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে ইসরাইল। তবে কখন এবং কীভাবে এই সহায়তা পৌঁছাবে, তা স্পষ্ট করেনি ইসরাইল।
সোমবার, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, অনাহারজনিত সংকট সামরিক অভিযানের জন্য হুমকি হতে পারে। ফলে কেবল মৌলিক খাবার সরবরাহ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অবশ্য আন্তর্জাতিক উদ্বেগের মুখে নেতানিয়াহু সেখানে কিছু পরিমাণে ত্রাণ ঢুকতে দিতে বাধ্য হয়েছেন।
তিন মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় জারি থাকা ইসরাইলি অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মহল, এমনকি যুক্তরাষ্ট্র কাছ থেকেও ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয়েছে। নেতানিয়াহু বলেন, তারা বিশ্বে আমাদের সবচেয়ে ভাল বন্ধু। এই বন্ধুরা বলেছে, গাজায় মানুষের অনাহারের চিত্র ইসরাইলের সমর্থন ক্ষুন্ন করছে এবং ইসরাইল এমন এক চরম সীমায় পৌঁছে যাচ্ছে যেখানে তারা সমর্থন হারাতে পারে।
সেই কারণে গাজার যুদ্ধে জয় পাওয়ার জন্য কোনওভাবে ইসরায়েলকে এই সমস্যা সমাধান করতে হচ্ছে বলে নেতানিয়াহু তার সরকারের কট্টর-ডানপন্থিদের ব্যাখ্যা দিয়েছেন, যারা চাইছে গাজায় ত্রাণ বন্ধ রাখা হোক যাতে তা হামাসের কাছে পৌঁছতে না পারে।
গাজা ভূখন্ড পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গাজা থেকে অবরোধ তুলে নিতে ইসরাইলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ জোরদার হওয়ার মধ্যে নেতানিয়াহু এমন কথা বললেন। ইসরাইলের সেনাবাহিনী শুক্রবার নতুন অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। তারা খান ইউনিসের অধিবাসীদেরকে সোমবার অবিলম্বে এলাকা খালি করে দিতে বলেছে।
সেখানে নজিরবিহীন হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। এক ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু বলেছেন, “তুমুল যুদ্ধ হচ্ছে। আমরা গাজার সব অংশ নিয়ন্ত্রণে নেব। তিনি গাজায় হামাসের হাতে থাকা ৫৮ জিম্মিকে মুক্ত করাসহ হামাসকে বিনাশ করে পুরোপুরি জয় অর্জনের অঙ্গীকার করেছেন।