বহু বছরের পুরোনো বাণিজ্যমেলা চীনের ক্যান্টন ফেয়ার। প্রতিবছর এই মেলা বিশ্বের ব্যবসায়ীদের জন্য বড় এক আকর্ষণ। কারণ বছরজুড়ে কোন কোন পণ্যের চাহিদা থাকবে, কৃষি থেকে চিকিৎসায় কোন প্রজন্মের যন্ত্র ব্যবহার হবে সেটি নির্ধারিত হয় পাইকারি মেলার এই আয়োজন থেকেই।
মেলার মূল ক্রেতা মধ্যপ্রাচ্য ইউরোপ আর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ব্যবসায়ীরা। চীনের গুয়াংজু শহরে বছরে দু’বার তিন ধাপে আয়োজন করা হয় ক্যান্টন ফেয়ার।
বছরের পর বছর ধরে পাইকারি পণ্য কেনা-বেচার সবচেয়ে বড় বাজার ক্যান্টন ফেয়ার। যেখানে অংশ নেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বড় বড় আমদানি ও রপ্তানিকারকরা।
প্রায় ১২ লাখ স্কয়ার মিটারের প্রদর্শনী হলে কেনা-বেচা হয় বিভিন্ন পণ্য। প্রতি ছয়মাসে একবার চীনের গোয়ানডং প্রদেশের গুয়াংজু শহরে আয়োজন করা হয় বিশাল এই বাণিজ্য মেলার। প্রতি ধাপে ছয়দিন করে তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হয় মেলা।
প্রথম ধাপে মোবাইল কৃষি যন্ত্রপাতি, গাড়ি, মেশিনারিজ ও নিত্য-নতুন প্রযুক্তি পণ্য প্রদর্শিত হয়। দ্বিতীয় ধাপে গৃহস্থালি পণ্য আর তৃতীয় ধাপে পোশাক ও খাদ্য পণ্যের সমাহার।
বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ক্রেতারা জানান, এখানে এক ছাদের নিচেই অনেক কিছু পান তারা। তাই দিনকে দিন আগ্রহ বাড়ছে- তাদের।
করোনার আগ পর্যন্ত চীনের কোনো ক্রেতা এই মেলায় অংশ নিতে পারতো না। ক্রেতারা ছিলো কেবলই আন্তর্জাতিক। তবে করোনার বাধ্যবাধকতায় সেই নিষেধাজ্ঞা আর নেই। যদিও এখনও মূল ক্রেতা ভারত, মধ্যপ্রাচ্য আর ইউরোপের ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশের বাণিজ্যমেলার সাথে বড় ফারাকটা হলো এখানে কোন খুচরা পণ্যের বিক্রি নেই। আগামী এক বছর বিশ্ববাজারে কোন পণ্যের চাহিদা বাড়বে কোন পণ্য বাজার মাতাবে, প্রযুক্তির কোন নতুন পণ্যটি মানুষের আগ্রহ কাড়বে; এই মেলায় সেটি আগাম জানতে পারেন ব্যবসায়ীরা। তাই ক্যান্টন ফেয়ারকে বলা চলে ‘ট্রেন্ড সেটার’।
বাংলাদেশের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, তারা ব্যবসায়ের ধারণা নিতে এই মেলায় এসেছেন। এমন ছোট ও বড় কোম্পানির আরও অনেককে তারা দেখেছেন।
প্রতি বছর মার্চ ও সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হয় ক্যান্টন ফেয়ার।