জাতিসংঘে অংশগ্রহণের সাথে সঙ্গতি রেখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় ফিলিস্তিনের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণ করতে গৃহীত খসড়া প্রস্তাবকে ‘ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ইরান।
জেনেভায় জাতিসংঘের কার্যালয় এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় ইরানের স্থায়ী মিশন এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা ইরনার।
২৭ মে থেকে ১ জুন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ‘সকলের জন্য স্বাস্থ্য, সবার জন্য স্বাস্থ্য’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ৭০তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার সদস্য রাষ্ট্রগুলি জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের অংশগ্রহণের সাথে ডব্লিউএইচওতে অংশ নেয়ার বিষয়ে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
প্রস্তাবে ফিলিস্তিনকে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসাবে তার ক্ষমতায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশ এবং অন্যান্য সভায়, সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে বসা, বিস্তৃত বিষয়ে কথা বলার অধিকার, প্রস্তাব জমা দেয়ার অধিকার দিয়েছে।
প্রস্তাবে ফিলিস্তিনকে পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবেই রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য সংস্থায় ফিলিস্তিন ভোট দিতে পারবে না এবং স্বাস্থ্য সংস্থার কোনো অংশে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রার্থী দিতে পারবে না বলে খসড়া প্রস্তাবে বলা রয়েছে।
খসড়া প্রস্তাবটি আলজেরিয়া, ব্রুনাই দারুসসালাম, চীন, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, জর্ডান, কুয়েত, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, নিকারাগুয়া, ওমান, পাকিস্তান, সোমালিয়া, তিউনিসিয়া, তুর্কিয়ে, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ভেনিজুয়েলা তুলেছিলো।
প্রস্তাবের পক্ষে ১০১টি ভোট পড়ে। বিপক্ষে পড়ে পাঁচটি। ভোটদান থেকে বিরত থাকে ২১ সদস্য।
এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায়, জেনেভায় জাতিসংঘের কার্যালয় এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় ইরানের স্থায়ী মিশন বলেছে এটি ‘একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত’।
ইরানের স্থায়ী মিশন বিবৃতিতে বলেছে, জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থাগুলিকে অবশ্যই সাধারণ পরিষদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে হবে এবং ফিলিস্তিনের অনুরোধ স্বীকার করে এই ঐতিহাসিক অবিচারের প্রতিকারে তাদের ভূমিকা পালন করতে হবে।