আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী সংলাপের প্রথম দফায় নির্বাচনকমিশনের ডাকে সাড়া দেননি বেশিরভাগ শিক্ষাবিদ।
তবে যারা অংশ নিয়েছেন তারা জানিয়েছেন, সবার অংশগ্রহনমূলক নির্বাচনদেখতে চান তারা। আর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছেন, রাজনৈতিকদলগুলো সমঝোতায় না আসলে নির্বাচন করা কঠিন হবে।
দায়িত্ব নেয়ার ১২ দিনের মাথায় নির্বাচনী সংলাপের আয়োজন করলো নিবার্চনকমিশন। প্রথম দফায় ৪০ জন শিক্ষাবিদকে আমন্ত্রন জানানো হলেও অংশ নেন ১৫ জন শিক্ষক।
সংলাপের স্বাগত বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালবলেন, আগামী নির্বাচন যেন অংশগ্রহনমূলক হয় সে লক্ষ্যে সবার মতামত নেয়ার জন্য এই সংলাপ।
তিনি বলেন, অতীতে বেশ কিছু নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়নি। এজন্য আগামীনির্বাচন যেন বেশি অংশগ্রহণমূলক হয়, সে লক্ষ্যে কমিশন সবার মতামত নিচ্ছে।
এরপর নিজেদের মতামত তুলে ধরেন আমন্ত্রিত শিক্ষাবিদরা। বলেন, বর্তমাননির্বাচন প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব না। সবাই অংশ না নিলে আগামীতে নির্বাচনকরা কঠিন হয়ে পড়বে।
অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, নিরপেক্ষতাকে ভয় পাই। আমি স্বপ্ন দেখি, একদিনএমন নির্বাচন হবে যেখানে জয়ী দল এবং হারা দল- দুটাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক হবে।
ইসির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা যত ভালোকাজই করেন, আপনাকে গালি খেতেই হবে। এজন্য নির্বাচন কমিশনকে গালি নিয়ে না ভাবার পরামর্শদিয়েছেন তিনি।
জাফর ইকবাল বলেন, গালি নিয়ে ভাববেন না। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকেযেন বলতে পারেন, আমি কাজটা ঠিকমতো করতে পেরেছি। এটা গুরুত্বপূর্ণ।
সংলাপ শেষে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভালো নির্বাচন পুরোপুরিকমিশনের উপর নির্ভর করে না। রাজনৈতিক দলগুলো সমঝোতায় না আসলে নির্বাচন করা কঠিন হবে।
সংলাপে অংশ নেয়া শিক্ষাবিদরা হলেন, ড. জাফর ইকবাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরঅধ্যাপক ড. এম আনোয়ার হোসাইন, ওয়ার্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. আবদুলমান্নান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম আবুল কাশেম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরঅধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন খান, সাদেকা হালিম, ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, ড. আখতারহোসেন, লায়লুফার ইয়াসমিন, সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. এ এফ এম মফিজুল ইসলাম,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়েরঅধ্যাপক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান ও ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির প্রো ভাইস চ্যান্সেলরড. নিয়াজ আহম্মেদ খান।
আরও পড়ুন: ইরবিলে মার্কিন কনস্যুলেটে ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসির আমন্ত্রিত শিক্ষাবিদরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, একই বিভাগের অধ্যাপক ড.সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ও অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিনখান, অধ্যাপক এম জাফর ইকবাল, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানবিভাগের অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী, বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগেরঅধ্যাপক ড. এম আনোয়ার হোসাইন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ,অধ্যাপক লাইলুফার ইয়াসমিন, অধ্যাপক এম আবুল কাশেম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানবিভাগের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ,অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. মোহাব্বত খান, অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েরসাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহআবু সায়ীদ, বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম,ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. তানভীর হাসান, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিরউপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম মফিজুল ইসলাম, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্যঅধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, ইউল্যাবের জেনারেল এডুকেশন বিভাগের অধ্যাপক সলিমুল্লাহখান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বিশ্ববিদ্যালয়েররাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফেরদৌস হাসান ও তাসনিম আরিফা সিদ্দিকী, জাহাঙ্গীরনগরবিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলম, অধ্যাপক আল মাসুদহাসানুজ্জামান এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদইয়াহিয়া আখতার।
একাত্তর/আরবিএস