দুই সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং একটি বায়ু ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আগামী ২০ বছরের জন্য বিদ্যুৎ ক্রয়ে বিদ্যুতের দাম নির্ধারণের পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার। এজন্য মোট প্রাক্কলিত ব্যয় প্রায় ১৯ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।
বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত চলতি বছরের সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটির (সিসিজিপি) ৩০তম বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। খবর বাসস’র।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান জানান, এ দিনের সিসিজিপি বৈঠকে মোট ১৪টি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
তিনি জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) কনসোর্টিয়াম অফ গ্রিন প্রোগ্রেস রিনিউয়েবল বিভি এবং আইআরবি অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলা এবং ঠাকুরগাঁও জেলার অন্তর্গত পীরগঞ্জ উপজেলায় স্থাপন হতে যাওয়া ১০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রায় ৩ হাজার ৫২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০ বছর মেয়াদে ‘বিদ্যুৎ নেই তো পয়সা নেই’ পেমেন্ট পদ্ধতিতে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ১০ দশমিক ৮৭৮২ টাকায় বিদ্যুৎ ক্রয় করবে।
তিনি জানান, বিপিডিবি কক্সবাজার সদর উপজেলায় স্থাপন হতে যাওয়া ‘দি কনসোর্টিয়াম অব ডাইট্রোলিক এসএ ইন্টারন্যাশনার পিটিই’ এবং ‘পাওয়ারনেটিক এনার্জি লিমিটেড’ এর কনসোর্টিয়ামের ১০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে থেকে ২০ বছরের জন্য প্রায় ৩ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বিদ্যুৎ নেই তো পয়সা নেই’ পেমেন্ট পদ্ধতিতে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ১০ দশমিক ৯২৮১ টাকায় বিদ্যুৎ ক্রয় করবে।
তিনি আরও জানান, বিপিডিবি কক্সবাজারের চকোরিয়ায় স্থাপন হতে যাওয়া ২২০ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র জেটি নিউ এনার্জি কোম্পানি লিমিটেড থেকে থেকে বিল্ড-ওন-অপারেট (বিওও) পদ্ধতির অধীনে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টায় ১৩ দশমিক ৪১৪ টাকায় ২০ বছরের জন্য প্রায় ১২ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বিদ্যুৎ সংগ্রহ করবে।
মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জানান, দিনের সিসিজিপি সভা বিদ্যুৎ বিভাগের একটি প্রস্তাবকেও অনুমোদন দিয়েছে যার অধীনে ‘টার্নকি বেসিসে ইউনিফাইড প্রিপেইড সিস্টেমের আপগ্রেডেশনসহ অ্যাডভান্স মিটারিং ইনফ্রাস্ট্রাকচারের ডিজাইন, সাপ্লাই, ইনস্টলেশন, টেস্টিং কমিশনিং’ এর কাজগুলো যৌথ উদ্যোগ ওকুলিন টেক বিডি লিমিটেড, নুরিফ্লেক্স কোং এবং এসকিউ ট্রেডিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাছ থেকে প্রায় ৪৬০ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে সংগ্রহ করা হবে।
তিনি বলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ প্রায় ৭৭২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনজন দরদাতাকে দিয়ে যশোর বিমানবন্দর, সৈয়দপুর বিমানবন্দর এবং রাজশাহী শাহ মখদুম বিমানবন্দরের রানওয়ে সারফেস অ্যাসফল্টের কংক্রিট ওভারহোলিংয়ের কাজ করাবে।
এছাড়াও, সিসিজিপি বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়েছে যার অধীনে এলইএ অ্যাসোসিয়েটস সাউথ এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, ভারতকে প্রায় ৫৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে হাতিরঝিল-রামপুরা সেতু, বনশ্রী-শেখেরজায়গা-আমুলিয়া-ডেমরা মহাসড়ক চার লেনের আপগ্রেডেশন কাজের জন্য পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।