নাশকতা ও তাণ্ডব চালিয়ে মানুষের কল্যাণে নির্মাণ করা উন্নয়ন স্থাপনা যারা ধ্বংস করছে তাদেরকে রুখে দিতে দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আর আন্দোলনকারীদের দাবি ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হচ্ছে জানিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এখনও কীসের আন্দোলন।
ব্যাপক নাশকতার মধ্যে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ এলাকা বৃহস্পতিবার পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশবাসীর কষ্ট লাঘবে সরকার যে উন্নয়ন করছে, সেগুলো ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকেই রুখে দাঁড়াতে হবে। এ তাণ্ডব যারা করেছে, তাদের বিচার দেশবাসীকে করতে হবে।
কোটা আন্দোলন ঘিরে সারাদেশে চালানো হয় ব্যাপক তাণ্ডব। হামলা, লুটপাট চলে রাষ্ট্রীয় ও সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। এতে রক্ষা পায়নি রাজধানীর জনপ্রিয় ও আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা মেট্রোরেলও। দই দফায় নাশকতার শিকার হয়েছে মেট্রোরেল।
এদিন ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশন দেখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষ যেন নির্বিঘ্নে কর্মক্ষেত্রে পৌঁছাতে পারে, সেটা সুনিশ্চিত করা হবে। দেশটা যাতে আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে পারে সেই চেষ্টাই করবো।
‘এ দেশের মানুষ রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে, সেটা ব্যর্থ হতে পারে না। যে স্থাপনাগুলো মানুষের জীবনকে সহজ করে, সেগুলো ধ্বংস করা কোন ধরনের মানসিকতা,’ আক্ষেপ করে বলেন সরকারপ্রধান।
বলেন, ঢাকা শহর যানজটে নাকাল, মেট্রো সেখানে স্বস্তি দিয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির এই পরিবহন এভাবে ধ্বংস করেছে তা মানতে পারছি না।
কোটা আন্দোলন চলার সময় গত ১৮ জুলাই মেট্রোর লাইনের নিচে মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরের পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়।
পরেরদিন সন্ধ্যায় মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ব্যাপক নাশকতা চালানো হয়। হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট চলে অবাধে।
ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয় টিকেট ভেন্ডিং মেশিন, মূল স্টেশনে যাত্রী প্রবেশের পাঞ্চ মেশিন, টিকেট কাউন্টার, এক্সেলেটরসহ নানা স্থাপনা। শুধু ভাঙচুরই নয়, লুট করে নিয়ে যাওয়া নানা যন্ত্রাংশ।
হামলা চালানো হয়েছে মিরপুরের পল্লবী ও ১১ নম্বর স্টেশনের কিছু অংশে। আর বেশি
ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশন মেরামতে এক বছর সময় লেগে যাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, গেল ১৬ বছরে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন করা হয়েছে। যার সুফল সাধারণ মানুষ পাচ্ছে। এগুলোর ওপর এত ক্ষোভ কেন?
‘রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্টে সাধারণ মানুষেরই কষ্ট হবে। সেটা কি সাধারণ মানুষ ভেবেছে? যারা এই কষ্ট তৈরি করল, তাদেরকে জনগণেরই প্রতিহত করতে হবে,’ বলেন তিনি।