ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যেই ভোটার তালিকা তৈরি, সীমানা নির্ধারণ আর ব্যালট পেপার ছাপার প্রস্তুতির কাজ বেশ এগিয়ে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। হাতে আছে আট মাস। একজন বিশ্লেষক বলছেন, ইসির জন্য এই সময় যথেষ্ট তবে সরকারকে সংস্কার-বিচারে গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি মনে করেন, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হলে দেশে রাজনৈতিক সংকটের তৈরি হবে।
ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠকে নির্বাচনের সময় নিয়ে কালো মেঘ কেটে গেছে বলে মনে করছেন সবাই। নির্বাচন কমিশনও ব্যস্ত সময় পার করছে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, আসন পুনর্নির্ধারণ কিংবা আর ব্যালট পেপার ছাপানোর মতো কাজগুলো নিয়ে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে, ৬০ লাখের বেশি নতুন ভোটারের তথ্য ইতিমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে। পাশাপাশি তালিকা থেকে বাদ দেয়া হচ্ছে প্রায় ২০ লাখ মৃত ভোটারের নাম। চলতি বছরের ২ মার্চ প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকায় মোট ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন।
মোটা দাগে নির্বাচনের বড় প্রস্তুতির মধ্যে আছে, ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরি, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, ভোটের জন্য প্রয়োজনীয় কেনাকাটা, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ও দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন দেয়ার মতো কাজগুলো। এর মধ্যে বেশ কিছু প্রস্তুতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে শেষ করতে হয়। এ ধরনের প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো এগিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান মনে করছেন, নির্বাচনের কাজের পাশাপাশি সংস্কার ও জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারকেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে।
যদি নির্বাচন আরও পিছিয়ে যায়, তাহলে সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংকট তীব্র হবে বলেও জানান তিনি। সেক্ষেত্রে জনপ্রিয়তার কমবে ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকারের।
দেশের মানুষ নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে বলেও মত বিশেষজ্ঞদের।