ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্যাং সংস্কৃতি! শিক্ষার্থীদের কাছে এখন রীতিমতো আতঙ্কের নাম প্রলয় গ্যাং। ২৫ মার্চে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়টি আলোচনায় আসে।
এরিমধ্যে আটক হয়েছে গ্যাংটির কয়েক সদস্য। তাদের দুজনকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই সঙ্গে ২৮ মার্চে একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
২০২৩ সালের শুরুতেই দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দেখা যায় ছিনতাই, আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবির মতো ঘটনা। বাদ যায়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও।
গেলো ২৫ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়ের ইবনে হূমায়ূনকে মারধরের ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে সামনে আসে প্রলয় গ্যাং।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, টিএসসি আর শহীদ মিনার এলাকায় প্রলয় গ্যাং এর তৎপরতার কথা শোনা গেছে।
বহিরাগত শিক্ষার্থীদের হেনস্তা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও মাদক সরবরাহ করা এই গ্যাংয়ের মূল কাজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জোবায়েরকে মারধরের পর আতঙ্কে ভুগছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, এই গ্যাংটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত। রয়েছে আরও দুইটি গ্যাং। তাদের একটি ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থীদের নিয়ে।
এই গ্যাংটির নিশাচর’ এবং যা বর্তমানে কিছুটা নিষ্ক্রিয় রয়েছে বলে জানা গেছে। অপরটি ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থীদের ‘ঐক্যবদ্ধ নিশাচর-২’।
শোনা যাচ্ছে প্রলয় গ্যাং এর কিছু সদস্য আছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে। তাহলে কি ছাত্র সংগঠনের প্রশ্রয়ে তারা এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে?
যদিও নির্যাতনের শিকার জোবায়েরও ছাত্রলীগ কমিটিতে আছেন। তাহলে কী ব্যবস্থা নেবে ছাত্রলীগ। সংগঠনটির নেতারা বলছেন, তদন্তের পরই সিদ্ধান্ত।
ঘটনা তদন্তে হল প্রধ্যক্ষদের নিয়ে একটি গঠন করেছে কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রক্টর বলেন, ২৫ মার্চের ঘটনায় ১৯ জনের সম্পৃক্ততা মিলেছে, যারা ৭টি হলের শিক্ষার্থী।
যেহেতু মাদকের বিষয়টি সামনে এসেছে তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্টের বিষয়টি যুক্ত করাটা সময়ের দাবি বলেও জানান এই শিক্ষক।
আর সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, গ্যাং কালচার নতুন কিছু না। এর জন্য ক্যাম্পাসের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে দায়ি বলে মনে করেন তারা।
একাত্তর/এসি
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.