লোডশেডিংয়ের এই সময়েও ক্রেতা শূন্য রাজধানীর ৭০০’র বেশি শপিংমলে দেদারে ব্যবহার করা হচ্ছে এসি, চলন্ত সিঁড়ি আর আলোকসজ্জা। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল ১০টা থেকে রাত আট পর্যন্ত দোকান খোলা থাকার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।
রাজধানীর ইস্টার্ন প্লাজায় গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারের বেঁধে দেয়া সময় অনুযায়ী মার্কেটটি সকাল ১০টায় খুলেছে। কিন্তু সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ক্রেতা উপস্থিতি একেবারেই শূন্য। যদিও সেন্ট্রাল এসি, ফ্যানের মতো নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সকল সেবা চলমান। ফাঁকা অবস্থায় চলছে ৪৬০টিরও বেশি দোকানের মালিক কর্মচারী আর ক্রেতাদের ব্যবহারের জন্য চলন্ত সিঁড়িটিও।
কেবল ইস্টার্ন প্লাজা নয়, রাজধানীতে ছোট-বড়ো মিলিয়ে প্রায় ৭০০ শপিং মলের একই অবস্থা।
ব্যবসায়ীদের দাবি, সকালে ক্রেতাহীন মার্কেট চালু রেখে আটটার মধ্যে বন্ধের এ সিদ্ধান্তে ক্ষতি হচ্ছে দু’ পক্ষেরই।
তবে জ্বালানি খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লাভ-ক্ষতি যাচাই না করে রাত আটটার পর মার্কেট বন্ধের সিদ্ধান্ত সঙ্কট উত্তরণে বেশি প্রভাব ফেলবে না।
বাংলাদেশ দোকান মালিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান টিপু বলেন, ক্রেতা থাকুক আর না থাকুক, প্রতি মাসে বিদ্যুৎ খাতে তাদের গুণতে হয় অন্তত এক লাখ টাকা। একটি লিফট আর চলন্ত সিঁড়ি চললেও বিল আসে ৪০ হাজার টাকার মতো। বিশ্ব মন্দার জেরে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী হলেও তাতে কতোটুকু খরচ কমানো যাবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: মোবাইল ব্যাংকিংসহ কার্ড থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া যুবক ধরা
এদিকে জ্বালানি বিশ্লেষক ড. শামসুল আলম বলেন, যাচাই-বাছাই ছাড়াই এ খাত থেকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের সিদ্ধান্তে খুব একটা লাভ হবে না সরকারের। যদি সকালে সময়টা কমিয়ে রাতে বেশিক্ষণ বিপণী-বিতানসহ শপিংমলগুলো খোলা রাখা যায় তবে সরকার লাভবান হবে।
একাত্তর/এসি