সাংবাদিক তোয়াব খানকে বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে। সোমবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে সমাহিত করা হয় তাকে। ২৫ বছর আগে ছোট মেয়ে এষা খানকে যে কবরে সমাহিত করা হয়েছিল, সেটিতেই শেষ শয্যা হলো তোয়াব খানের।
বার্ধক্যজনিত জটিলতায় অসুস্থতার পর তোয়াব খানকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে গত শনিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
সোমবার সকালে তেজগাঁওয়ে দৈনিক বাংলা ও নিউজবাংলা কার্যালয় প্রাঙ্গণে প্রথম জানাজা শেষে প্রথিতযশা সাংবাদিককে নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয়।
এরপর মরদেহ নেওয়া হয় জাতীয় প্রেসক্লাবে। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে হয় জানাজা। আসরের নামাজের পর গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদে হয় তৃতীয় জানাজা। সেখান থেকে মরদেহ নেওয়া হয় বনানী কবরস্থানে।
তোয়াব খান ১৯৫৫ সালে খান দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় কাজ শুরু করেন, ১৯৬১ সালে তিনি এর বার্তা সম্পাদক হিসাবে পদোন্নতি পান এবং ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত কাজ করেন।
১৯৬৪ থেকে ১৯৭২ পর্যন্ত বার্তা সম্পাদক হিসেবে দৈনিক পাকিস্তানে কাজ করেন। ১৯৭২ সালে দৈনিক বাংলা পত্রিকায় সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন।
১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত তোয়াব খান রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব ছিলেন। ১৯৮৭-১৯৯১ মেয়াদে সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ ও প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদেরও প্রেসসচিব ছিলেন তিনি।
১৯৮০ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ছিলেন। বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ছিলেন।
আরও পড়ুন: আবুল কালামের প্রতি একাত্তর পরিবার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা
মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিক ছিলেন। তার লেখা ও উপস্থাপনায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে নিয়মিত প্রচারিত হতো ‘পিন্ডির প্রলাপ’।
সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তোয়াব খানকে ২০১৬ সালে একুশে পদক প্রদান করে।
একাত্তর/আরএ