১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। শিশুদের মধ্যে জাতির পিতার ত্যাগের ইতিহাস আরও স্পষ্ট করতে নানা আয়োজন করেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
শিক্ষকরা বলছেন, পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি নানা আয়োজন আর আলোচনার মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে।
যিনি স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, যার সাহসে উজ্জীবিত হয়ে সেইদিন লাখো তরুন যুদ্ধে নেমেছিলো, লালা সবুজের পতাকা যার জন্য পেয়েছে বাঙ্গালি, খুদে শিল্পীদের রং তুলিতে সেই সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি বঙ্গবন্ধু, মূর্ত হয়ে উঠলেন সাদা ক্যানভাসে।
শোকের দিনে খুদে শিল্পীরা এঁকেছে ঘাতকের হাতে সপরিবারে নিহত নিথর জাতির পিতাকে। আজ যিনি কেবলই ছবি। শিশুর কল্পনায় যেনো ভিন্ন ভিন্ন অবয়বে ধরা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু।
শুধু তাই নয় জাতীয় শোক দিবসে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলে জাতির পিতাকে নিয়ে বক্তৃতা আয়োজন হয়েছে। কেউ তৈরি করেছে দেয়ালিকা। কারো উপস্থাপনায় ব্যক্ত হয়েছে, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে না বলা কথা।
শিক্ষকরাও বলছেন, ছবি এঁকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কিছু লেখার মাধ্যমে শিশুমনে যে ছাপ পড়বে, তা সে বয়ে বেড়াবে আজীবন। বলেন, ত্যাগের সঠিক ইতিহাস জানানোর দায় পরিবারের পাশাপাশি শিক্ষকদেরও।
ভিকারুন নিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক (প্রাইমারি) সংগীতা ইমাম বলেন, শিক্ষার্থীরা যখন নিজের হাতেকলমে কাজটা করে, তখন এই ছাপটা ভেতরে থেকে যায়। তাদের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী হওয়া সম্ভব না। বঙ্গবন্ধুকে ভুলে থাকা সম্ভব না।
শিক্ষকরা বলেন, একদিন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সঠিক বাস্তবায়ন করবে, এই শিশুরাই।
একাত্তর/আরবিএস