চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে অগ্নিকাণ্ডের কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকা সরেজমিন পরিদর্শনপূর্বক একটি কমিটি গঠন করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব নিরূপণ, ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণ এবং এ ঘটনায় বর্ণিত ক্ষতির প্রশমন ও প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে সুপারিশ বা প্রস্তাবনা প্রদানের জন্য কমিটিকে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আব্দুল হামিদের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।
গঠিত এ কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) হিল্লোল বিশ্বাস। কমিটিতে বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে আছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেসের অধ্যাপক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন (পিএইচডি) এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক ও ইনস্টিটিউট অব রিভার, হারবার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেসের পরিচালক ড. আসিফুল হক। সদস্য হিসেবে আছেন পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম গবেষণাগারের উপপরিচালক মো. কামরুল হাসান। কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিটির প্রয়োজনে অন্য যে কোনো সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে। কমিটিকে আগামী ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে সুস্পষ্ট মতামতসহ তদন্ত প্রতিবেদন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর প্রেরণ করার জন্য বলা হয়েছে।
এর আগে সোমবার বিকাল ৩টার দিকে কর্ণফুলী মইজ্জারটেক এলাকায় এস আলম সুগার মিলের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মিলের পিছনের অংশে প্রথমে আগুন লাগে। ক্রমে তা ছড়িয়ে পড়ে অপরিশোধিত চিনি রাখার গুদামে।
প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট কাজ শুরু করলেও পরে যোগ দেয় কোস্টগার্ড, নৌ বাহিনী ও বিমানবাহিনীর একাধিক ইউনিট। প্রায় ৬৪ ঘণ্টা পর গুদামের আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়েছে।
সবশেষ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এস আলম গ্রুপ জানায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসায় আগামী শনিবার থেকে আবারও চিনি পরিশোধন করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।