তিনজন নারী শেফ। যারা লড়াই করেছেন জেন্ডারভিত্তিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত হয়েছেন সফল। তাদের লড়াইকে উপজীব্য করে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র "আ ওম্যানস প্লেস"। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে হয়ে গেলো এর প্রদর্শনী।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ঢাকা এবং আমেরিকান ফিল্ম শোকেসের (এএফএস) যৌথ উদ্যোগে ১৬ দিনের জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ কার্যক্রম পালন উপলক্ষে আমেরিকান সেন্টারে "আ ওম্যানস প্লেস" প্রামাণ্যচিত্রের একটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে জেন্ডার অধ্যয়ন, উন্নয়ন অধ্যয়ন, সমাজবিজ্ঞান এবং অপরাধতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষকবৃন্দসহ প্রাক্তন বিনিময় কর্মসূচির অংশগ্রহণকারীরা অংশগ্রহণ করেন।
দূতাবাসের অ্যালামনাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এই উদ্যোগ- নারীর ক্ষমতায়নকে সমর্থন এবং জেন্ডারভিত্তিক বৈষম্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা এবং সম্পৃক্ততার সুযোগ তৈরি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ঢাকার ডেপুটি ডিরেক্টর অফ পাবলিক এনগেজমেন্ট ব্রেন ফ্ল্যানিগান অনুষ্ঠানের সূচনা করেন এবং নারীদের জন্য নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ গড়ে তোলার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের জেন্ডার সমতা ও মানবাধিকার প্রচারে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রতিশ্রুতির প্রতি জোর দেন।
প্রদর্শনী শেষে একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যা ইউএন উইমেন বাংলাদেশের সৈয়দা সামারা মোর্তজা পরিচালনা করেন। আলোচনায় অংশ নেন দ্য ডাইমেনশন প্যাকেজিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং একাডেমি ফর উইমেন এন্টারপ্রেনিউরস (এডব্লিউই)-এর অ্যালামনা জান্নাতুল ফেরদৌসি এবং , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক এবং ফুলব্রাইট অ্যালামনা ড. সামিনা লুৎফা । জেন্ডারভিত্তিক ইস্যু, কর্মক্ষেত্রের সহনশীলতা, এবং প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে শিক্ষা ও সচেতনতার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে নারীর সমতা নিশ্চিত করা এবং নারীদের মুখোমুখি হওয়া প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবন্ধকতাগুলো মোকাবিলার লক্ষ্যে তাদের বিস্তৃত মিশনের অংশ হিসেবে। এই প্রদর্শনীর লক্ষ্য ছিল নারীদের জন্য সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শুরু করা এবং আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা।
আমেরিকান ফিল্ম শোকেসের সহযোগিতায় আয়োজিত এই আয়োজন চলচ্চিত্রকে আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপ এবং সামাজিক পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের উদ্যোগের প্রতিফলন।