জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মধ্যে আন্তদলীয় সংলাপ শেষ হয়েছে। সংলাপে আট দফায় ঐকমত্য হয়েছে দুই দল।
রোববার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর পুরানা পল্টনে খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
সংলাপে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব. যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আতক মুজাহিদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ উদ্দিন মাহদি। খেলাফত মজলিসের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমীসহ আরও অনেকে।
সংলাপে গৃহীত আট দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-
১. চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের মর্যাদার সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা এবং পরিবারকে পুনর্বাসন করতে হবে।
২. গণহত্যার দায়ে ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে। বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করতে হবে ও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। এ লক্ষ্যে জুলাই অভ্যুত্থানকালীন সময়ের মত জাতীয় ঐক্য অটুট রাখতে হবে।
৩. জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালীন গণহত্যা, শাপলা চত্বরে গণহত্যা, পিলখানায় বিডিআর হত্যা -সহ বিগত ১৫ বছরে গুম, খুন, হত্যায় জড়িতদের দ্রুত বিচার করতে হবে।
৪. আলেম-উলামা-সহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে।
৫. সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১৪ টাকা বৃদ্ধি ও শিল্পখাতে নতুন গ্যাস সংযোগে অতিরিক্ত (৩৩%) মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।
৬. গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘসহ বিশ্বসম্প্রদায়কে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
৭. ভারতীয় মুসলমানদের সম্পদ লুট ও ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংসের জন্য ভারতের মুসলিম ওয়াকফ সংশোধনী বিল বাতিল করতে হবে। ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের উপর জুলুম নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।
৮. মৌলিক সংস্কারের জন্য ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ প্রণয়ন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।